আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ১২:৫৪ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৫, ২০২৩
আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থানার সাতগাঁও চা বাগানের এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজারের বাংলোতে ডাকাতির ঘটনায় মালামালসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার ফান্দ্ররাইল গ্রামের (পান্ডরাইল) সবুজ মিয়া (৪৭), সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার থানার রামপুর গ্রামের বশির আহমদ (৩৫), সুনামগঞ্জের ছাতক থানার লাকেশ্বর পূর্বপাড়া গ্রামের সফিক উদ্দিন (৪০) ও নাসিরনগর থানার কান্দুরা সাহেব বাড়ির মিঠুন দাস (২৫)।

পুলিশ সুপার বলেন, ২৩ নভেম্বর দিনব্যাপী কুমিল্লার কোতায়ালী থানা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে মৌলভীবাজারের সাতগাঁও চা বাগানের বাংলো থেকে লুটকৃত স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা এবং অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।তিনি বলেন, ডাকাতির সংবাদ পাওয়া মাত্রই পুলিশ মাঠে কাজ শুরু করে। গোপন সোর্স ও তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় কুমিল্লার কোতয়ালী থানার অন্তর্গত ২ নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের হাজী মোস্তফার মালিকানাধীন বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত তিন জন সাতগাঁও চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপকের বাংলোতে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত বলে স্বীকার করে।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামি সবুজ মিয়ার কাছ থেকে ডাকাতির ঘটনায় লুষ্ঠিত ৮ (আট) আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ও নগদ তিন হাজার টাকা, বশির আহমদের কাছ থেকে দুই আনা ওজনের একটি স্বর্ণের আংটি, একটি সিলভার রংয়ের নেভিফোর্স ব্র্যান্ডের হাত ঘড়ি ও নগদ তিন হাজার টাকা এবং সফিক উদ্দিনের কাছ থেকে একটি গোল্ডেন কালারের মিমা ব্র্যান্ডের হাত ঘড়ি ও নগদ তিন হাজার টাকা জব্দ করা হয়।

মনজুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা জানায়, ডাকাতির ঘটনায় লুষ্ঠিত স্বর্ণালংকার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানাধীন ধরমন্ডল বাজারে শুভা শিল্পালয় নামক জুয়েলারী দোকানে বিক্রি করেছেন। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই জুয়েলারী দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সে সময় দোকান মালিক স্বর্ণালংকার ক্রয়কারী মুজিবর রহমান (৪৫) পালিয়ে যায়। পরে তার সহযোগী দোকান কর্মচারী মিঠুন দাস (২৫) কে আটক করা হয়। তিনি আসামিদের কাছ থেকে স্বর্ণ ক্রয়ের কথা স্বীকার করেন। পরে সেখান থেকে একটি সাদা রংয়ের কাগজের প্যাকেটে রক্ষিত অবস্থায় ৮ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন, ২ আনা ওজনের এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, ২ আনা ওজনের এক জোড়া স্বর্ণের কানের রিং জব্দ করা হয়।

প্রেস ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সুদর্শন কুমার রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহসিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মোহাম্মদ সারোআর আলম, সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল সার্কেল) আনিসুর রহমান, শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, মামলার তদন্তকারী অফিসার পুলিশ পরিদর্শক মো. আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।