গদখালিতে ফুল বাগানের পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা

প্রকাশিত: ৭:৪১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৫, ২০২০

নিউজ ডেস্কঃ গদখালির চাষিরা বসন্ত বরণ, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ফুল বাজারে সরবরাহ করবে। ফুলের রাজ্য গদখালি পানিসারা ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মাঠজুড়ে শুধু ফুল আর ফুল।সেখানে বিভিন্ন ধরনের জারবেরা, গোলাপ, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, হলুদ গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা ফুল হাতছানি দিয়ে ডাকছে মায়াভরা প্রকৃতিকে। প্রতিটা ক্ষেতেই চাষিরা গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে।এখানে চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বসন্ত বরণ, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে ঘিরে তাদের ব্যস্ততা বৃদ্ধি পেয়ে যায়। বছরের তিন-চারটি উৎসব ঘিরেই সবচেয়ে বেশি ফুল বিক্রি হয়।ফুলচাষি নজরুল ইসলাম খোকন ও আলমগীর হোসেন বলেন, প্রায় চার বিঘা জমিতে জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকা, গ্লাডিওলাস ও রজনীগন্ধা ফুল রয়েছে। বসন্ত বরণ ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে ফুল সরবরাহ করতে প্রস্তুতি নিচ্ছি। ফুলের ভরা মৌসুমে আমাদের নাওয়া-খাওয়া থাকে না।

তবে তুলনামূলক ফুলের চাহিদা ও দাম এখন একটু কম। ১ বিঘা গোলাপ ও ২ বিঘা গ্লাডিওলাস ফুলের আবাদ করে বর্তমানে গোলাপ ৩ টাকা ও গ্লাডিওলাস ২-৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পহেলা বৈশাখের আগে ফুলের দাম বাড়বে বলে মনে হয় না।তারা আরও বলেন, এক বিঘা গোলাপ রোপণে প্রায় এক লাখ টাকা খরচ হয়। চার হাজার চারার দাম প্রায় ৫০ হাজার টাকা। আর রোপণসহ অন্যান্য খরচ আরও ৫০ হাজার টাকা। এছাড়াও পরিচর্যার খরচ রয়েছে বাড়তি। একবার রোপণে ছয়-সাত বছর পর্যন্ত গোলাপ ফুল পাওয়া যায়।স্থানীয় পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেন, সামনে ভ্যালেনটাইন ডে-তে ফুল বিক্রি বেশি হবে। বাজারে জারবেরা, গোলাপ, রজনীগন্ধ ফুলের চাহিদা বেশি। কৃষকরাও দাম ভালো পাবে। প্রতি বছর যশোরে ফুলের আবাদ বাড়ছে। এবারো তার ব্যতিক্রম হবে না বলে আমরা আশাবাদি।বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম জানান, যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার এ অঞ্চলে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কৃষক দুই হাজার হেক্টর জমিতে ফুলের আবাদ করে।

এবারের বসন্ত বরণ, ভ্যালেনটাইন ডে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে গদখালি এলাকার কৃষকরা ২০০ কোটি টাকার ফুল সরবরাহ করবে বলে আমি আশাবাদি।তিনি আরও বলেন, ফুলচাষিরা ভালো ফুল উৎপাদন করে গ্রাহকের নিকট বিক্রি করতে পারবে এবং আশা করছি কৃষকরা তাদের ফুলের অনেক ভালো মূল্য পাবে। অন্যদিকে বিদেশ থেকে প্লাস্টিকের ফুল আমদানি করায় দেশীয় ফুলের ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়ছে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাধন কুমার বিশ্বাস বলেন, এই অঞ্চলের ফুলচাষিদের জন্য সরকার ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ফুলচাষিদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফুলচাষিদের ব্যাংক ঋণ সহজ করতে ও ফুল সহজে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।