সময় মত কাজ শেষ না করায় ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল জামানত বাজেয়াপ্ত

প্রকাশিত: ১২:২৪ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৩

ধর্মপাশা প্রতিনিধিঃ ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের ফজলুল হক সেলবর্ষী সড়কের সড়ক উন্নয়ন কাজটি নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন না করায় ও কাজ বাস্তবায়ন নিয়ে সীমাহীন গাফিলতি করায় ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল ও জামানত বাজেয়াপ্ত করা হযেছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডির) বন্যা ও দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পল্লি সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো.আবদুর রহিম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি সম্প্রতি উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে এসে পৌঁছেছে।

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের মনাই নদের তীরঘেঁষা ফজলুল হক সেলবর্ষী সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় দেড়কিলোমিটার। এই সড়কের এক হাজার ২০০মিটার সড়ক পাকাকরণ, সংস্কার ও মেরামত এবং প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণের জন্য দরপত্রের মাধ্যমে এক কোটি ৪৪ লাখ ৪৫হাজার ৭৪১টাকা ব্যয়ে কাজটি পায় মেসার্স সুমাইয়া এন্টার প্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত বছরের ৩০জুনের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করার কথা ছিল। পরে কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয় চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না করে ঠিকাদার আলেয়া সড়ক উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা নিয়ে তালবাহানা শুরু করেন। তাঁকে বেশ কয়েকবার তাগিদ পত্র দেওয়া হলেও এতে তিনি কর্ণপাত করেননি।

এ অবস্থায় উপজেলা প্রকৌশলী এই ঠিকাদারের কার্যাদেশ ও বাতিল ও জামানত বাজেয়াপ্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানান। এই সড়ক উন্নয়ন কাজটি বাস্তবায়ন না হওয়ায় এখানকার মাইজবাড়ী, বীর দক্ষিণ প্রচারপাড়া, বীর দক্ষিণ পশ্চিমপাড়া, বীর দক্ষিণ পূর্বপাড়া, বীর দক্ষিণ নতুন বাড়ী, মাটিকাটা, সলপ, ভাটাপাড়া, পালপাড়া, রংপুর গ্রামের স্কুল ও কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ ২০হাজারের বেশি মানুষজনকে দীর্ঘদিন ধরে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঠিকাদার আলেয়ার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে তাঁর ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দাবি করে শাকের হোসেন সাগর বলেন, এই কাজের প্রাক্কলন সঠিকভাবে করা হয়নি। সড়কটি নদীর তীরের বিভিন্ন স্থানে প্রতিরক্ষা দেয়ালের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও তা কাজে ধরা হয়নি। সড়কটিতে কার্পেটিং না করে আরসিসি ঢালাই করতে হবে। নতুবা সড়কটির ভাঙন রোধ করা কোনো অবস্থাতেই সম্ভব হবে না। আর এ জন্য আমরা কাজটি শেষ করিনি। কার্যাদেশ বাতিল ও জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার খবর পেয়েছি।

উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহাবউদ্দিন বলেন, ঠিকাদার যথাসময়ে কাজ শেষ না করায় এবং কাজটি বাস্তবায়ন নিয়ে সীমাহীন গাফিলতি করায় ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল ও জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।এখন নতুন করে এই সড়কের প্রাক্কলন তৈরি করে তা অনুমোদনের জন্য প্রকল্প পরিচালক মহোদয়ের কাছে পাঠানো হবে।সেখান থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হবে।