বলসুন্দরী কুলচাষে স্বাবলম্বী সাইফুল

প্রকাশিত: ৭:৩০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৫, ২০২০

নিউজ ডেস্কঃ জীবননগরে বাণিজ্যিকভাবে কাশ্মীরি জাতের কুলচাষ শুরু হয়েছে। ছয় বিঘা জমিতে এ জাতের কুলচাষ শুরু হয়েছে। কৃষকরা বলছেন, অল্প দিনে গাছে ফল আসায় এটি একটি লাভজনক ব্যবসা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলসুন্দরী ও থাই আপেল জাতের কুলচাষের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে কৃষকদের।জীবননগর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে তরুণ যুবক সাইফুল ইসলাম ছয় বিঘা জমিতে বলসুন্দরী ও থাই আপেল জাতের কুলের আবাদ করেছেন।তিনি ভারত থেকে বন্ধুর মাধ্যমে গত আট মাস আগে সাড়ে ৭০০ বলসুন্দরী ও থাই আপেল জাতের কুলের চারা ক্রয় করে নিয়ে আসেন। নিজের কিছু জমি আর কিছু জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ শুরু করেন।

বলসুন্দরী ও থাই আপেল কুলগাছ জমিতে লাগানোর আট মাস পর থেকে গাছে ফল আসতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে বাগানের প্রতিটি গাছ কুলের ভারে মাটিতে নুয়ে পড়েছে। গাছের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত প্রতিটি স্থানেই কুল আর কুল। অন্য ফসল চাষের চাইতে কুলচাষে খরচ কম হওয়ায় চাষিরাও এ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন।একই গ্রামের সিরাজুল ইসলামও পাঁচ বিঘা জমিতে থাই আপেল জাতের কুলচাষ করছেন। কৃষক সাইফুল বলেন, এ জাতের কুলের বাজার চাহিদা অন্য কুলের চাইতে বেশি। আমার প্রতি বিঘা কুলচাষে খরচ হয়েছে ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা। তবে যে হারে কুল ধরেছে আশা করি বিঘা প্রতি দেড় থেকে দুই লাখ টাকা থাকবে।প্রতি কেজি কুল ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। কুল খেতে সুস্বাদু, রসালো ও মিষ্টি। কুলের আকার অন্য জাতের কুলের চাইতে বড়। কুলের রং লাল ও হলুদ।জীবননগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শাহ আলম বলেন, প্রথমবারের মতো জীবননগরে বাণিজ্যিকভাবে বলসুন্দরী ও থাই আপেল জাতের কুলচাষ শুরু করেছেন কৃষকরা। কুলচাষ সহজ ও লাভজনক। নতুন জাতের কুলচাষের জন্য কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বলসুন্দরী ও থাই আপেল কুলের চাহিদা বেশি। পাঁচ বিঘা জমিতে এ জাতের কুলচাষ হচ্ছে।