বিমান দুর্ঘটনায় গ্রেপ্তার ইরানের মিসাইল অপারেটর

প্রকাশিত: ৫:১২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৫, ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বোয়িং ৭৩৭ বিমান দুর্ঘটনায় ইরানের এক মিসাইল অপারেটরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডের এরোস্পেস কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলি হাজিজাদে জানিয়েছেন, একজন মিসাইল অপারেটর ভুল করে যাত্রীবাহী প্লেনটিকে ক্ষেপণাস্ত্র বলে চিহ্নিত করেন। তারপর নিজের সিদ্ধান্তে সেটিকে নিশানা করে মিসাইল হামলা চালান।মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের বিচার বিভাগীয় মুখপাত্র গোলাম হোসেন ইসমাইলি এই কাণ্ডে প্রথম গ্রেপ্তারির খবর ঘোষণা করেন।তিনি বলেন, ‘বিস্তারিত তদন্তের পর বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ তবে তারা সংখ্যায় কতজন তা তিনি স্পষ্ট করেননি।চলতি মাসের ৮ তারিখ বা গত বুধবার, তেহরানের ইমাম খোমেইনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই মধ্যেই ভেঙে পড়ে একটি বোয়িং ৭৩৭ বিমান।

জানা যায়, বিমানটি ‘ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স’-এর। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় বিমানের ১৭৬ জন যাত্রীর। তারপরই তড়িঘড়ি ইরান জানিয়েছিল যে যান্ত্রিক গোলযোগের জন্যই দুর্ঘটনাগ্রস্থ হয়েছে বিমানটি। যদিও সেই দাবি নিয়ে দেখা দেয় সন্দেহ।এদিন গ্রেপ্তারির খবর সামনে আসার আগেও প্রেসিডেন্ট রৌহানি দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের রেয়াত না করার বার্তা দিয়েছেন। তবে বিশ্লেষকদের মতে প্রবল আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পদক্ষেপ করেছে ইরান। নির্দেশ ছাড়া মিসাইল অপারেটর কখনোই ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়তে পারে না। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অথচ যারা নির্দেশ দিয়েছিলেন সেইসন শীর্ষ স্তরের সামরিক কর্তাদের পার পেয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে।এদিকে, ইরানের এই স্বীকারোক্তির পরেই গর্জে ওঠে ইউক্রেন ও কানাডার সরকার। এই ঘটনার জন্য ইরানের শাস্তি দাবি করেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভোলোডাইমার জেলেনস্কি। এই ঘটনার জন্য ইরানের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সরকারি বিবৃতি দিয়ে মৃতদের পরিবার ও তাদের প্রিয়জনদের কথা ভেবে ইরানকে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইতে বলেন।