রাজশাহীতে আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াবে

প্রকাশিত: ১২:৫১ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১৩, ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : অনাবৃষ্টির কারণে রাজশাহী আঞ্চলে এবার আউশ মৌসুমের ছন্দপতন ঘটেছে। তবে শঙ্কাকাল কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত শ্রাবণের শেষ দিকে ঝরা-বৃষ্টির ছোঁয়ায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী কৃষি বিভাগ।

রাজশাহী আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, রাজশাহী অঞ্চলের (রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও নাটোর) এ গত বছর ১ লক্ষ ৫১ হাজার ৩৭৮ হেক্টর জমিতে আউশের আবাদ হয়েছিলো। এবার মৌসুমের শেষ সময়ে ৩০ জুলাই পর্যন্ত তার অর্ধেকও অর্জিত হয়েছিলো না।তবে শ্রাবণের বৃষ্টির পর গত বছরের চেয়ে এখন পর্যন্ত বেশি আবাদ হওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আউশের আবাদ হয়েছে। আর এবারের আউশের লক্ষ্যমাত্রা ১ লক্ষ ৮০ হাজার ৫০৫ হেক্টর। এখন পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার ৮৮ শতাংশ রোপণ হয়েছে। আগামী ৫-৭ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ অর্জিত হয়ে যাবে বলে আশাবাদী কৃষি দপ্তর।

পবা উপজেলার কয়েকটি মাঠ ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টির আগে খাঁ খাঁ করা বরেন্দ্র ভূমিতে এখন কৃষক ব্যস্ত সময় পার করছেন। বৃষ্টির পানি ধরে রেখে কেউ জমি প্রস্তুত করছেন। কেউ জমিতে ধান লাগাচ্ছেন। কেউ বা ধান লাগিয়ে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। আর শেষ পর্যন্ত আবহওয়া ভালো থাকায় ভালো ফলনেরও প্রত্যাশা চাষিদের।

উপজেলার কৃষক আব্দুস সত্তার জানান, ধান উৎপাদনে খুব বেশি লাভ হয় না। এ অবস্থাতেও সামান্য লাভের আশায় প্রাকৃতিক দূর্যোগকে সঙ্গী করে অনেক কষ্ট করে তারা ধানের আবাদ করেন। এবারও বৃষ্টির কারণে অনেক দেরিতে ধান লাগাতে হচ্ছে। তবে ধানের দাম ভালো থাকায় ৩ বিঘা জমিতে আউশের আবাদ করেছেন।

চাষি আনসার আলী জানান, অনাবৃষ্টির কারণে প্রথমে আউশের চারা নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। পরে বৃষ্টির পরপরই চারা রোপণ করি। একারণে অনেকটাই দেরি হয়ে গেলো। তবে এখন আবহওয়া সুন্দর আছে।

রাজশাহী আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক শামসুল ওয়াদুদ জানান, কৃষিভিত্তিক এ অঞ্চলে সব সময় খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকে। করোনাকালেও এর ব্যত্যয় হয় নি। তবে এবারের অনাবৃষ্টিতে একটা শঙ্কা তৈরি হয়েছিলো। তবে শেষ পর্যন্ত সেই শঙ্কা কেটে গেছে। তবে আউশ মৌসুমের শেষে এখন আউশ লাগানো হচ্ছে। একটু দেরি হলো।