গুইমারায় ভুল চিকিৎসায় যুবকের মৃত্যু

প্রকাশিত: ২:৪৫ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৮, ২০২৩

আব্দুর রহিম, খাগড়াছড়িঃ পার্বত্য খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার হাতিমুড়া বাজারে গ্রাম্য ডাক্তারের ভূল চিকিৎসায় মানষিক ভারসাম্যহীন এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত যুবক হাফছড়ি(জোরখাম্বা) এলাকার মৃত- নুরুল ইসলামের ছেলে মোঃ হেলাল(২৮)।

২৫ জুলাই বিকাল-৫ টায় মানুষিক ভারসাম্যহীন যুবক হেলালকে পূর্ব ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী আনা হয় হাতিমুড়া এলাকার পল্লী চিকিৎসক ডাঃ মোঃ রুবেল’র ফার্মেসীতে সেখানে ব্যবস্থাপত্রে উল্লেখিত ইনজেকশন পুশ করার কিছুক্ষনের মধ্যেই নিস্তেজ হয়ে যায় হেলাল।

ইনজেকশন পুশ করার পর রোগীর কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে তাঁর স্বজনেরা তাঁকে মানিকছড়ি উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে জরুরী বিভাগের ডাক্তার মোঃ মহিউদ্দিন রোগীকে দেখেই জানিয়ে দেন মেডিক্যাল আনার পুর্বেই হেলাল মারা গেছে।

রোগীর স্বজনদের অভিযোগ ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী নিয়মিত ইনজেকশান দেয়া হলেও আজ ডাঃরুবেল(পল্লী চিকিৎসক) এর কাছে নির্দিষ্ট ইনজেকশান না থাকায় অন্য ইনজেকশান পুশ করে এতে রুগী মারা যায়।

এই ঘটনা জানাজানি হলে প্রথমে মানিকছড়ি থানা এসআই তানভীর মানিকছড়ি উপজেলা হাসপাতালে মৃত ব্যাক্তির খোজ খবর নেন। পরে গুইমারা থানার এসআই কামরুল তার ছোট ভাই মোঃ দুলাল ও মামাত ভাই মুহিদুল ইসলাম থেকে বিস্তারিত জানেন ও শোনেন।

ঘটনার বর্ননা দিতে গিয়ে মৃত হেলালের ছোট ভাই দুলাল বলেন গ্রাম্য ডাক্তার মোঃ রুবেলের কাছে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা নেই। তার মাধ্যমে আমার ভাই মানসিক রোগী মোঃ হেলাল এর ইনজেকশন পুশ করা হয়। কিন্তু আজ চিকিৎসাপত্রে যা লিখা ছিল সেই ইনজেকশন না দিয়ে অন্য ইনজেকশন পুশ করে ডাক্তার রুবেল। কিছুক্ষণ পর আমাদেরকে খবর দেন, তখন আমার ভাইয়ের আর কোন সাড়াশব্দ নেই। তাকে মানিকছড়ি উপজেলা হাসপাতালে নিতে হবে বলে জানান ডাঃরুবেল। আমরা দ্রুত মানিকছড়ি উপজেলা হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার মোঃ মহিউদ্দিন জানান হাসপাতালে আসার আগেই আমার ভাই মারা গেছে।

এই বিষয়ে হাতিমুড়ার পল্লি চিকিৎসক রুবেলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।এমন কি গুইমারা থানা পুলিশসহ হাতি মুড়া বাজারে তার ফার্মেসিতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।

গুইমারা থানার এসআই কামরুল ও সরোয়ার বলেন আমরা হালসুরুত নিয়েছি বাকীটা আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

গুইমারা থানার ওসি রাজিব চন্দ্র কর বলেন, আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। এখন পর্যন্ত কোন থানায় কোন অভিযোগ আসেনি তবে যদি কেউ অভিযোগ বা মামলা করে তাহলে আমরা যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেবো।