কেউ মেনে নিতে পারছেন না তিথির মৃত্যু,হাসপাতালের বিছানায় কাঁদছে সহপাঠী রূপা

প্রকাশিত: ৪:২২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৫, ২০২০

কমল সরকার গৌরীপুর : সহপাঠী তিথী পালের অকাল মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত রূপা চক্রবর্তী (১২)। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে তিথীর স্মৃতি মনে করে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠছে রুপা। বুধবার (১৫ জানুয়ারী) সকালে ময়মনসিংহের গৌরীপুর শহরে তিথীর শোক র‌্যালিতে অংশগ্রহনের আগে রূপার বাবা উত্তম চক্রবর্তী (৩৮) সাংবাদিকদের একথাগুলো বলেন। তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় রূপার বাম পা ও মুখের ৫টি দাঁত ভেঙ্গে যায়। বর্তমানে সে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

তিথীর স্মৃতি তুলে ধরে উত্তম চক্রবর্তী বলেন, তিথী ও তাদের বাসা গৌরীপুর পৌর শহরে মধ্যবাজার এলাকায় পাশাপাশি। তিথী ও রুপা গৌরীপুর পৌর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১৯ সনে পিইসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উর্ত্তীণ হয়ে গৌরীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। তারা দুথজন প্রতিদিন একসঙ্গে স্কুলে যেতো এবং স্কুল শেষে একসঙ্গে বাসায় ফিরে আসতো। ঘটনার দিন সোমবার (১৩ জানুয়ারী) সকাল ৭টার দিকে কোচিংয়ে ক্লাস করার উদ্দেশে তিথী ও রূপা বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল।

এসময় কালিখলা নামক স্থানে তন্দ্রাচ্ছন্ন চালক ও হেলপারের অসাবধানতায় বালু ভর্তি ট্রাক তাদেরকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তিথী মারা যায় এবং রূপা গুরুতর আহত হয়। এদিকে আদরের মেয়েকে হারিয়ে কান্না থামছে না তিথীর মা রীতা রানী পাল ও বাবা রঞ্জন কুমার পালের। তিথীর ছবি আঁকড়ে ধরে মেয়ের নানা স্মৃতি মানুষের কাছে তুলে ধরছেন। তিথীর অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া বিরাজ করছে তিথীর সহপাঠী, স্কুলের শিক্ষকসহ গৌরীপুরের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে। তার এ মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছেন না।