গরুর ট্রাক টানাহেঁচড়া করলে কঠোর ব্যবস্থা: আইজিপি

প্রকাশিত: ২:০৭ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৫, ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য যা করা দরকার, আমরা তাই করছি। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সবসময় আমাদের মোটরসাইকেল টিম সড়কে থাকবে। তারা ঠিকঠাক দায়িত্ব পালন করছেন কিনা তা মনিটরিংয়ের জন্য পুলিশের সিনিয়র সদস্যরাও মাঠে থাকবেন। পাশাপাশি গরুবাহী ট্রাক নিয়ে টানাহেঁচড়া করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারন করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের প্রধান (আইজিপি) আব্দুল্লাহ আল-মামুন চৌধুরী।

শনিবার বিকেলে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক পরিদর্শন শেষে বাইপাইল ত্রিমোড়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।আইজিপি বলেন, আমরা দেশবাসীদেরকে আশ্বস্ত করতে চাই, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে আমাদের সদস্যরা মাঠে থাকবে। ঈদে ঢাকা ছেড়ে যারা গ্রামের বাড়িতে যাবেন তারা মূল্যবান সম্পদসহ আবাসনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যাবেন। আমাদের সদস্যরা বিভিন্ন ফ্ল্যাট-বাড়ি এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। এছাড়া যে কোন প্রয়োজনে আপনারা পুলিশের সহায়তা নিন এবং জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ এ কল করে আমাদের জানান। ঈদ যাত্রায় যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের পুলিশের সব ইউনিট যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করছে। প্রয়োজনে ড্রোন দিয়ে আমরা এসব কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবো।

আইজিপি আরও বলেন, আপনারা দেখেছেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতির দিকে ছিল। সেখান থেকে আমরা পুলিশ বাহিনীর সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে আইনশৃঙ্খলাকে সমুন্নত রেখেছি এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে আমরা দায়িত্ব পালন করছি। গতবার আপনাদের সামনে এসে বলেছিলাম আমরা আমাদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করবো যেন সাধারণ মানুষ ঈদে ভোগান্তি ছাড়াই বাড়িতে যেতে পারে। এ লক্ষ্যে আমাদের সদস্যরা কাজ করেছেন। দেশের মানুষ বলেছে, আমাদের প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। এ সফলতা অর্জন সম্ভব হয়েছে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সহযোগিতায়। এবারও আমরা চেষ্টা করবো দেশের মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারে।

গতবার সড়কের পরিস্থিতি ভালো থাকার কথা উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, গতবার আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল একটি, এবার আমাদের চ্যালেঞ্জ রয়েছে তিনটি। গতবার আমাদের একটি চ্যালেঞ্জ ছিল সুরক্ষিতভাবে যাত্রীদের বাড়িতে পাঠানো ও ফেরত আনা। এবারের তিনটি চ্যালেঞ্জ হলো- পশুর হাটের নিরাপত্তা ও পশুবাহী ট্রাকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এছাড়া এ সময় মৌসুমি ফলবাহী পরিবহনের যাতে কোনো সমস্যা না হয় তা নিশ্চিত করা।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ প্রধান বলেন, একসময় ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে মানুষ যে কটাক্ষ করতো, সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তবে রূপান্তর হয়েছে। গর্বের পদ্মা সেতু এখন আমাদের বাস্তবতা। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এদেশের সব মানুষ স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধ। যে কোনো ধরনের চক্রান্ত রুখে দেওয়ার সামর্থ্য বাংলাদেশ সরকারের আছে। এদেশের সম্মান, স্বাধীনতা বিনষ্ট করার জন্য দেশীয় যে কুচক্রী মহল জড়িত রয়েছে তাদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। পাশপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একনিষ্ঠভাবে আন্তরিকতার সঙ্গে সেই স্বড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে কাজ করছে।

এছাড়া সড়কে কেউ গরুবাহী পরিবহন নিয়ে টানাহেঁচড়া করতে পারবে না জানিয়ে আইজিপি বলেন, আমরা গরুবাহী পরিবহনের ও হাটের জন্য একটি নির্দেশনা দিয়েছি। এ ব্যাপারে আমাদের পুলিশের প্রতিনিধিদেরও নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। গরুবাহী পরিবহন যে হাটে যাবে তারা যেন পরিবহনের সামনে ও পেছনে হাটের নামসহ ব্যানার সাটিয়ে দেয়। গরুবাহী ট্রাক নিয়ে টানাহেঁচড়া করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে এসময় হাইওয়ে পুলিশের প্রধান, শিল্প পুলিশের প্রধানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।