কারিগরি জটিলতায় নাকুগাঁও চেকপোষ্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার বন্ধ

প্রকাশিত: ১২:০৮ অপরাহ্ণ, জুন ২১, ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টটি প্রায় চার বছর বন্ধ থাকার পর নাকুগাঁও-ঢালু ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে যাত্রী পারাপারের অপেক্ষায় আছেন সাধারণ যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা।

ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশের পক্ষ থেকেই ইমিগ্রেশন চালুর নির্দেশ এলেও নাকুগাঁও ইমিগ্রেশনে কম্পিউটারের সফটওয়্যার আপগ্রেডের কাজ শেষ না হওয়ায় এখনও শুরু করা যায়নি যাত্রী পারাপার। তবে কর্মকর্তারা বলেন সফটওয়্যার আপগ্রেডের কাজ সম্পন্ন হলে এবং ঢাকা থেকে স্পেশাল ব্রাঞ্চের সবুজ সংকেত পাওয়া গেলেই যে কোনো পর্যটক ও ব্যবসায়ী এই ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে ভারতে যাতায়াত করতে পারবেন।

জানা গেছে, ২০২০ সালের মার্চের ২২ তারিখ করোনা মহামারির কারণে এ স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার এবং সব ধরনের পণ্যের আমদানি রফতানি বন্ধ হয়ে যায়। পরে পাথর ও কয়লা আমদানি শুরু হলেও বন্ধ থাকে যাত্রী পারাপার। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে গত বছরের ২৬ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব তরফদার মাহমুদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়। সেসময় ভারতের ঢালু ইমিগ্রেশন চালুর অনুমতি না পাওয়ায় যাত্রী পারাপার সম্ভব হয়নি। চলতি মাসের ৭ জুন ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পশ্চিম গারো পাহাড়, তুরার পুলিশ সুপার বিবেকানন্দ সিং স্বাক্ষরিত এক আদেশে ঢালু ইমিগ্রেশন চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে নাকুগাঁও ইমিগ্রেশনে কম্পিউটারে সফটওয়্যার আপগ্রেডের কাজ শেষ না হওয়ায় এখনও শুরু করা যায়নি যাত্রী পারাপার।
ময়মনসিংহ বিভাগসহ আশপাশের কয়েক জেলার পর্যটক, ব্যবসায়ী এবং রোগীরা নাকুগাঁও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে কম খরচে অল্প সময়ের মধ্যে ভারতে যেতে পারতেন। দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় বেনাপোল ইমিগ্রেশনসহ অন্য বন্দর দিয়ে ভারতে যান তারা। এতে তাদের খরচ যেমন বেড়েছিল ঠিক তেমনি নষ্ট হতো সময়ও। এ বন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার শুরু হলে খুব সহজেই চিকিৎসা, ব্যবসা কিংবা ভ্রমণের জন্য কম খরচে ভারত যেতে পারবেন তারা।

স্থানীয় বাসিন্দা পলাশীকুড়া গ্রামের ফজলুল হক বলেন, এই ইমিগ্রেশন দিয়ে যাতায়াত শুরু হলে আমাদের খুব উপকার হবে। যাতায়াত যখন চালু ছিলো তখন বছরে দুই একবার ভারতে আত্মীয়দের বাসায় ও ডাক্তার দেখাতে যেতাম। ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বন্ধ থাকায় গত প্রায় চার বছরে একবারও যেতে পারিনি। এদিক দিয়ে যাতায়াতও সহজ ও খরচ কম হয় এবং সময়ও কম লাগে।নাকুগাঁও আমদানী ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল বলেন, এই ইমিগ্রেশন দিয়ে যাত্রী পারাপার শুরু হলে আমদানি রফতানি ব্যবসার ব্যাপক প্রসার ঘটবে। ব্যবসায়ীরা ভারতে গিয়ে পণ্য যাচাই করে ক্রয়বিক্রয় করতে পারবেন। এতে এই এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটবে।

নাকুগাঁও ইমিগ্রেশনে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন বলেন, এই চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পাঠানোর ব্যাপারে চিঠি পেয়েছি। কম্পিউটারে সফটওয়্যার আপগ্রেডের কাজ চলমান থাকায় যাত্রী পারাপার শুরু করা যায়নি। আপগ্রেডের কাজ সম্পন্ন হলে এবং ঢাকা থেকে স্পেশাল ব্রাঞ্চের সবুজ সংকেত পাওয়া গেলেই যে কোনো পর্যটক ও ব্যবসায়ী এই ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন।