সিগারেট, ভ্যাপের দাম বাড়বে, অপরিবর্তিত বিড়ি

প্রকাশিত: ১২:০০ পূর্বাহ্ণ, জুন ২, ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : ২০২৩–২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেটের মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। পাশাপাশি সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে সিগারেটের দাম বাড়তে পারে। তবে বিড়িতে কর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়নি। ফলে অপরিবর্তিত থাকবে বিড়ির দাম।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকাল ৩টা থেকে জাতীয় সংসদে ২০২৩–২৪ অর্থবছরের উত্থাপিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন। বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, সিগারেটের কর বাড়িয়ে বাড়তি ছয় হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। সিগারেটের মূল্যস্তর চারটি। নিম্ন স্তরে মূল্য ৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৫ টাকা, মধ্যম স্তরে ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৬৭, উচ্চ স্তরে ১১১ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১৩ এবং অতি উচ্চ স্তরে ১৪২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। নিম্ন স্তরে সম্পূরক শুল্ক ১ শতাংশ বাড়বে। এতে নিম্ন স্তরের সিগারেটের দাম বেশি বাড়তে পারে। এছাড়া, ২০২০–২১ অর্থবছরে বিড়ির দাম ২৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। তাই এবারের বাজেটে না বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

দাম বাড়বে ভ্যাপের
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, তামাকজাতীয় পণ্য যেমন তরল নিকোটিন, ট্রান্সডার্মাল ইউজ নিকোটিন ইত্যাদি পণ্যের বিপরীতে ১৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। ইলেকট্রনিক সিগারেট ও সমজাতীয় ইলেকট্রিক ভ্যাপোরাইজার ডিভাইসের দাম বাড়তে পারে। এসব পণ্য এবং এর খুচরা যন্ত্রাংশের শুল্কহার সমান নয়। যন্ত্রাংশের শুল্কহার বাড়িয়ে মূল পণ্যের সমান, ২১২ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

তামাকজাতীয় পণ্য, ভ্যাপোরাইজার ডিভাইস বা ভ্যাপকে ক্ষতিকর উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, তামাক ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে প্রতিবছরই বাজেটে তামাকের ব্যবহার কমানোর কথা বলা হয়ে থাকে। আর এ জন্য করারোপও আগের বছরের চেয়ে বাড়ে। সেই সঙ্গে বাড়ে তামাক থেকে সরকারের রাজস্ব আয়।

২০১০-১১ অর্থবছরে তামাক ও তামাকজাত পণ্য থেকে সরকারের রাজস্ব আয় ছিল ৭ হাজার ৬৯১ কোটি টাকার বেশি। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে এ আয় বেড়ে হয় ২৯ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকার বেশি। ২০২১-২২ অর্থবছরে এ আয় ৩০ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।