ময়মনসিংহে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী গ্রেফতার

প্রকাশিত: ৩:৩৮ অপরাহ্ণ, মে ৩০, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : ময়মনসিংহের কোতোয়ালী থানার চাঞ্চল্যকর চাচাতো ভাই কর্তৃক ইমান আলী’কে পারিবারিক পূর্বশত্রুতার জেরে হত্যার ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিককে ময়মনসিংহের চুরখাই বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৪, ময়মনসিংহ।

ময়মনসিংহ র‍্যাব-১৪ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ভিকটিম ইমান আলী (২৮)ও আসামী আবু বক্কর (৪০) সম্পর্কে চাচাতো ভাই। ঘটনার দিন ২০১০ সালের ৫ নভেম্বর ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী থানাধীন চুরখাই মাঠপাড় এলাকায় ভিকটিম ইমান আলীকে আসামী আবু বক্কর ডেকে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ২০-২৫ জন মিলে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ইমান আলীকে জখম করে ফেলে রেখে যায়। আশপাশের লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ভিকটিম ইমান আলী মৃত্যুবরণ করে। এরই প্রেক্ষিতে, তৎকালীন সময়ে ভিকটিমের পিতা মোঃ ইদ্রিস আলী বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রমের পর, এই মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে মূলহোতা আবু বক্কর সিদ্দিক (৪০) সহ আসামী সাদ্দাম ও কালুর বিরুদ্ধে বাদীর আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত গত ২৮ মে ২০২৩ খ্রি. তারিখে উক্ত মামলার ৩ আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন। বাকি আসামীদের বেকুসুর খালাস প্রদান করেন। হানিফ নামের এক শিশু আসামী থাকায় তার মামলাটি শিশু আদালতে চলমান রয়েছে। বর্তমানে আসামী সাদ্দাম ও কালু জেল হাজতে আছে।

এরই ধারাবাহিকতায়, অদ্য ৩০ মে সকাল ১১.০০ ঘটিকার সময় র‍্যাব-১৪ ময়মনসিংহ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী থানাধীন চুরখাই বাজার এলাকা হতে ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী থানার ২০১০ সালের চাঞ্চল্যকর ইমান আলী হত্যা মামলায় প্রধান আসামী, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক, মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিককে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত সিদ্দিক সদর থানার চুরখাই গ্রামের মোহাম্মদ হাসিম উদ্দিন এর পুত্র।

গ্রেফতারকৃত আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। এছাড়াও উপরোক্ত ঘটনার মতো যাতে আর কোন ঘটনা না ঘটে, সেই প্রেক্ষিতে র‌্যাবের টহল তৎপরতা ও গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত থাকবে।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।