ছিনতাইকারী সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা, ইউপি সদস্য আটক

প্রকাশিত: ১২:২৫ পূর্বাহ্ণ, মে ১৩, ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : গাজীপুরের কালীগঞ্জে ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে ছিনতাইকারী সন্দেহে দুলাল মিয়া (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ করেছে ভূক্তভোগীর পরিবার। এ ঘটনায় মাহবুব (৪০) নামের ঐ ইউপি সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার দুপুরে এ বিষয়টি জানিয়েছেন কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের বর্তুল গ্রামে লাগোয়া পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের আগলা গ্রামে সোহেলের বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।নিহত দুলাল মিয়া উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের পাড়ারটেক গ্রামের মৃত বিল্লাল মিয়ার ছেলে। অন্যদিকে, আটককৃত ইউপি সদস্য একই ইউনিয়নের বর্তুল গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে রূপগঞ্জের জিন্দা এলাকার রায়হান ও সাইদুল মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার পথে বর্তুল গ্রামের নির্জনস্থানে তাদের পথরোধ করে আগলা গ্রামের সোহেল, তার ছেলে শান্ত ও পাড়ারটেক গ্রামের দুলাল। এ সময় তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে সোহেলের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।

পরে সেখানে মাহবুব মেম্বারের নেতৃত্বে তার লোকজন দুলালকে পেয়ে ছিনতাইকারী সন্দেহে এলোপাতারি পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। সেখান থেকে তাকে আহত অবস্থায় কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক শাফেয়ী আলম তার অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণের পরামর্শ দেন। পরে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে দুলালের মৃত্যু হয়।

ওসি ফায়েজুর রহমান বলেন, নিহতের মরদেহ প্রাথমিক সুরতহাল করা হয়েছে। নিহতের শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে একাধিক আঘাতে হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আরো বলেন, রাতে খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে এ ঘটনায় স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলেছি। ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে এমন ঘটনা ঘটেছে খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে মাহবুব মেম্বারকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছি। তবে মামলা তদন্তের স্বার্থে এর চেয়ে বেশি কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

নিহতের ছেলে আলামিন (২৫) বলেন, আমার বাবা সোহেল মামার বাড়ি গিয়েছিলেন। সেখানে বাবাকে দেখে ওই এলাকার মাহবুব মেম্বার উপস্থিত থেকে নেতৃত্ব দিয়ে তার ছোট ভাই হাবীব, শ্যালক রানা, প্রতিবেশী ফরহাদ ও মাসুদ ছিনতাইকারী সন্দেহে দেশী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে।