প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ কেন অবৈধ নয় দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম প্রকাশিত: ২:৩৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৪, ২০২০ স্টাফ রিপোর্টার : দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে গত ২৪ ডিসেম্বর নিয়োগের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। নিয়োগে ২০১৩ সালের শিক্ষক নীতিমালা অনুসরণ না করায় ১৬ জন নিয়োগ প্রার্থীদের পক্ষে করা এক রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর ও রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে এদিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. কামাল হোসেন। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার লোমত আরা চৌধুরী। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ঘোষিত ফল কেন অবৈধ নয় জানতে চেয়ে জারি করা রুলের বিষয়ে রিটকারী আইনজীবী মো. কামাল হোসেন বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ এর ৭ ধারায় বলা হয়েছে, ‘এই বিধিমালার অধীন সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদগুলোর ষাট শতাংশ মহিলা প্রার্থীদের দ্বারা, বিশ শতাংশ পোষ্য প্রার্থীদের দ্বারা এবং বাকি বিশ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করা হইবে।’ ‘কিন্তু ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ফলাফলে সেটা অনুসরণ করা হয়নি। তাই ১৬ জন নিয়োগপ্রার্থী ওই ফলাফলের বৈধতা নিয়ে রিট করেছেন। আজ আদালত রুল জারি করেছেন। রুলে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ লঙ্ঘন করে ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ফলাফল কেন আইনগত কর্তৃত্ববর্হিভূত ঘোষণা করা হবে না এবং একইসঙ্গে ঘোষিত ফলাফল বাতিল করে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ অনুসরণ করে নতুন ফলাফল কেন ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।’ ১০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। কামাল হোসেন আরও বলেন, এর মধ্যে ওই ফলাফল অনুসারে যদি তারা নিয়োগের উদ্যোগ নেয় তাহলে তা স্থগিতে আমরা ফের আদালতের দ্বারস্থ হবে। আর আদালতের জারি করা রুল বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়েছে। গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় মৌখিক পরীক্ষায় ১৮ হাজার ১৪৭ জন প্রার্থীকে নির্বাচন করে। ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে ওই বছরের ১ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশ থেকে ২৪ লাখ ৫ জন প্রার্থী আবেদন করেন। প্রথম ধাপে ২৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ৩১ মে, তৃতীয় ধাপে ২১ জুন এবং চতুর্থ ধাপে ২৮ জুন লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেপ্টেম্বরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ লিখিত পরীক্ষায় ৫৫ হাজার ২৯৫ জন পাস করেন। গত ৬ অক্টোবর থেকে নিয়োগ পরীক্ষার মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। মাসব্যাপী সারাদেশের সব জেলায় মৌখিক পরীক্ষা আয়োজন করা হয়। এ পরীক্ষায় ৬১ জেলায় ১৮ হাজার ১৪৭ জন চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন। ১৬ ফেব্রুয়ারি নতুন শিক্ষকদের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগদান করতে বলা হয়েছে। ১৭ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি তাদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হবে। আর ১৯ ফেব্রুয়ারি নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের পদায়নের আদেশ জারি করা হবে। এরই মধ্যে হাইকোর্ট এ বিষয়ে রুল জারি করলেন। Share this:FacebookX Related posts: প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার বৃত্তির ফল প্রকাশ মাঠ পর্যায়ের প্রাথমিক কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল সমন্বিত নিয়োগবিধি নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের অসন্তোষ প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি বন্ধ ১৫ নভেম্বর থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার ‘চিন্তাভাবনা’ ৩৪ ও ৩৫তম বিসিএস: ২৮ জনকে ক্যাডার হিসেবে নিয়োগের নির্দেশ কাল পরীক্ষায় বসছে সাড়ে ২০ লাখ শিক্ষার্থী মাজেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে স্বজনরা কারাগারে, ১০ জল্লাদ প্রস্তুত উত্তরায় নকল এন-৯৫ মাস্কের সন্ধান গ্রাহকের অজান্তে কল রেকর্ড সংগ্রহ বন্ধে হাইকোর্টের অভিমত এইচএসসি শুরুর তারিখ পেতে আরও দেরি ইরফান সেলিমের মামলা বিচারাধীন, এখনই মন্তব্য নয়: র্যাব ডিজি SHARES Matched Content আইন আদালত বিষয়: কেন অবৈধ নয়প্রাথমিকসহকারী শিক্ষক নিয়োগ