ঘরে পড়ে ছিল মায়ের খণ্ডিত মৃতদেহ, পুলিশ হেফাজতে ছেলে

প্রকাশিত: ১২:০৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৫, ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের আবাসিক কোয়ার্টারের একটি ঘর থেকে মমতাজ বেগম (৪৫) নামে এক নারীর কয়েক খণ্ডিত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃতদেহটি কয়েক খণ্ডে বিভক্ত ছিল।

সোমবার (২৪ এপ্রিল) রাত ২ টার দিকে মৃতদেহের অংশগুলো উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। নিহত মমতাজ বেগম লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কুশাখালী এলাকার মৃত আব্দুল মতিনের স্ত্রী।

জানা গেছে, মমতাজের স্বামী লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগে গাড়ি চালক পদে চাকুরী করতেন। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই তার দুই ছেলে শরিফুল ইসলাম বাপ্পী ও ছোট ছেলে সাইফুল ইসলাম রকিকে নিয়ে সড়ক বিভাগের স্টাফ কোয়ার্টারের একটি বাসায় বসবাস করছেন মমতাজ।

বড়ছেলে বাপ্পী সড়ক বিভাগে অস্থায়ী ভিত্তিতে পিয়নের কাজ করেন।

এ ঘটনায় তার বড় ছেলে বাপ্পীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ছোট ছেলে রকির কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি, সে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের ডিগ্রির ছাত্র।

স্থানীয় লোকজন জানায়, মমতাজ তার ছোট ছেলে রকিকে বাসায় রেখে বড় ছেলে বাপ্পীকে নিয়ে ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে যান। সোমবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তারা সড়ক বিভাগের আবাসিক কোয়াটারের বাসায় ফেরেন। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে বড় ছেলে বাপ্পী বাসায় এসে তার মাকে ডাকাডাকি করেন। এতে কোন সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। এসময় তিনি ঘরের প্রধান ফটকে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। আশেপাশের বাসায় খোঁজ নিয়েও তার মার কোন খোঁজ না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে। এসময় মায়ের রক্তমাখা খণ্ডিত মৃতদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে।

লক্ষ্মীপুর সদর থানার ডিউটি অফিসার (উপপরিদর্শক) শহিদুল ইসলাম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত মমতাজের বড় ছেলে শরিফুল ইসলাম বাপ্পীকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন জানান, কি কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পারিবারিক বিরোধের জেরে মমতাজ বেগম খুন হয়ে থাকতে পারে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।