প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ বন্ধ, তবে…

প্রকাশিত: ৬:৪০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৩, ২০২০

নিউজ ডেস্কঃ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন করে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে না। তবে সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের পাশাপাশি চলতি দায়িত্বে প্রধান শিক্ষকদের স্থায়ীভাবে পদোন্নতি দেয়া হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানিয়েছে, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের ১১তম গ্রেডে বেতন-ভাতা সুবিধা দেয়া হবে।মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইতোমধ্যে বিসিএস পরীক্ষায় নন-ক্যাডার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ না দিতে সরকারি কর্ম কমিশনকে (পিএসসি) লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের আওতায় এ পদে নিয়োগ ও পদোন্নতি হস্তান্তর করার সুপারিশ করা হয়েছে।

এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এর স্বপক্ষে যৌক্তিক কারণ জানতে চেয়েছে পিএসসি।এ বিষয়ে কর্মকমিশনকে লিখিত জবাবও দিয়েছে মন্ত্রণালয়। সরকারের অন্যান্য সংস্থার পদোন্নতির ক্ষেত্রে এ প্রক্রিয়া রয়েছে বলে জানানো হয়েছে মন্ত্রণালয় থেকে।প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছি। আগে ৬০ ভাগ প্রধান শিক্ষক পদোন্নতির ভিত্তিতে এবং ৪০ ভাগ পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হতো। এখন শতভাগ পদোন্নতির ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হবে।এদিকে, প্রত্যেক স্কুলে একটি করে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। সহকারী শিক্ষক থেকে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হবেন।

এ ব্যাপার সব সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে গেছে। খুব শিগগিরই এটি ফাইন্যান্সে পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।এ বিষয়ে সচিব বলেন, অনেকে সহকারী শিক্ষক পদটাকে ‘ব্লক পোস্ট’ মনে করে থাকেন। ফলে অনেক যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থী এ পেশায় আসতে চান না। তাদের উৎসাহ দিতে সরকারের এমন উদ্যোগ। এছাড়া একজন শিক্ষক দীর্ঘদিন একটি পদে থাকেন। তাদের কাজের অভিজ্ঞতার আলোকে এ পদে পদোন্নতি দেয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।আদালতে মামলাজনিত কারণে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। এ কারণে শূন্য আসনের বিপরীতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে চলতি দায়িত্বে দেয়া হয়েছে।বর্তমানে চলতি দায়িত্বে থাকা এ সকল শিক্ষকদের মূল বেতনের অতিরিক্ত আরো ১ হাজার ৫০০ টাকা দেয়া হচ্ছে। এর বাইরে আর কোনো সুবিধা দেয়া হচ্ছে না। খুব শিগগির তারা সুখবর পেত যাচ্ছেন।প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে শিক্ষকদের আর আন্দোলন করে মাঠে নামার প্রয়োজন নেই।তিনি জানান, আগে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষকরা ছিলেন যথাক্রমে ১১তম ও ১২তম গ্রেডে। সহকারী শিক্ষকদের ছিলেন যথাক্রমে ১৪তম ও ১৫তম গ্রেডে। এখন প্রধান শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড এবং সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডের দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।