চৌদ্দগ্রামে খুঁটি রেখেই ড্রেন নির্মাণের ছবি ভাইরাল

প্রকাশিত: ৩:০৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৩, ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পৌর সদরের ফালগুনকরা এলাকায় তিনটি বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই বাইপাস সড়কের ড্রেনেজের নির্মাণ কাজ চলছে সাম্প্রতিক একটি ছবি ফেস দ্যা পিপলসসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

এ ঘটনায় গত বুধবার ঠিকাদারকে ড্রেনের নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার মেয়র জি এম মীর হোসেন মীরু। জানা গেছে, গত বছরের ২২ জানুয়ারি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুল হক পশ্চিম বাইপাস সড়কের ড্রেনেজ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র জিএম মীর হোসেন।

বাইপাস সড়কের ফালগুনকরা অংশের শ্রী লক্ষণ সূত্রধর ও আবু তাহের মাস্টারের বাড়ি সংলগ্ন ড্রেনে তিনটি বিদ্যুতের পিলার রেখেই কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘ফাতেমা ট্রেডার্স’। এতে করে এলাকার পানি নিষ্কাশন ও ময়লা ড্রেন দিয়ে খালে যেতে বিঘ্ন ঘটবে।

স্থানীয়দের এমন দাবির প্রেক্ষিতে দীর্ঘ ১ বছরেরও বেশি সময় ধরে ড্রেনেজ নির্মাণকাজ বন্ধ ছিল। সম্প্রতি ড্রেনের মাঝে বিদ্যুতের তিনটি খুঁটি রেখেই নির্মাণকাজ আবারও শুরু করা হয়। এসময় এলাকাবাসীর দাবি জানান, দ্রুত বিদ্যুতের খুঁটি সরিয়ে ড্রেনের কাজ করা হোক।

পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহীন শার হোসেন বলেন, ‘রাস্তা এবং ড্রেনেজের কাজ গত অর্থ বছরে শুরু হয়েছে। তবে এলাকার লোকজন বিদ্যুতের খুঁটি থেকে পূর্ব দিকে জায়গা না দেওয়ায় ড্রেনেজ কাজের বিলম্ব এবং ব্যাঘাত ঘটছে। এ বিষয়টি দেখার জন্য প্রকল্প পরিচালক নুর হোসেন কাজ পরিদর্শন করেন। খুঁটি রেখেই কাজ শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু পৌরসভার পক্ষ থেকে জনগণের কল্যাণে বিদ্যুতের খুঁটিগুলো স্থানান্তর করতে দেরি হওয়ায় কাজ শেষ করতে দেরি হচ্ছে।’

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘ফাতেমা ট্রেডার্সের’ মো. মামুন জানান, ড্রেনেজের মধ্যে খুঁটি এবং কাজের ধীরগতির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘খুঁটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া অনেকের বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে সীমানা প্রাচীর সরানোর জন্য বারবার নির্দেশনা দিলেও সীমানা প্রাচীর সরাচ্ছে না কেউ। এতে করে রাস্তা ও ড্রেনেজ কাজের বিলম্ব হচ্ছে।

চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার মেয়র জিএম মীর হোসেন বলেন, ‘ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে তিনটি খুঁটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য ওয়াপদার আবাসিক প্রকৌশলীকে অনুরোধ করা হয়েছে। প্রকৌশলী এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন। এখন আপাতত নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে।