তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১২:২২ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৮, ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : তৃতীয় শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদারীপুরের শিবচরে এক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শিশুটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও ভিকটিমের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মাদবরচর ইউনিয়নের চরকান্দি গ্রামের দরিদ্র দিনমজুরের ১১ বছরের মেয়ে তার নানা বাড়ি একই ইউনিয়নের শিকদারকান্দি গ্রামে বসবাস করে বাখরের কান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেনীতে লেখাপড়া করে।

বৃহস্পতিবার সন্ধায় ওই শিশুটি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে তার নানার ঘর থেকে বাইরে বের হয়। এসময় প্রতিবেশী নানা মিজান সরদার (৫৫) শিশুটিকে ডেকে বাড়ির পাশে নিজের পোড়া মবিল রিফারিং কারখানায় নিয়ে যায়।

সেখানে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে মিজান সরদার শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এদিকে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও শিশুটি ঘরে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা শিশুটিকে খুঁজতে বের হলে পথে অভিযুক্ত মিজান সরদারের পোড়া মবিল রিফারিং কারখানার শ্রমিক সাজ্জাদ এর সাথে দেখা হয়।

এ সময় সাজ্জাদ জানায় মিজান সরদার শিশুটিকে নিয়ে কারখানার ভিতরে গিয়ে তাকে অন্যত্র কাজে পাঠিয়ে দিয়েছে। একথা শুনে পরিবারের লোকজন মিজান সরদারের কারখানায় গিয়ে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ পেয়ে ডাকাডাকি করলে অভিযুক্ত মিজান সরদার দরজা খুলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা শিশুটিকে সেখান থেকে আপত্তিকর অবস্থায় উদ্ধার করে শিবচর থানায় মামলা দায়ের করে।

শুক্রবার সকালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাদবরচর এলাকা থেকে অভিযুক্ত মিজান সরদারকে গ্রেফতার করে দুপুরে মাদারীপুর ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে প্রেরণ করেছে ও শিশুটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। গ্রেফতারকৃত মিজান সরদার শিকদারকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।

ভিকটিম শিশুর বাবা বলেন, আমার শশুর বাড়িতে থেকে আমার মেয়ে লেখাপড়া করে। মিজান সরদার আমার মেয়েকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে পোড়া মবিল কারখানায় নিয়ে ধর্ষণ করেছে। আমরা খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দরজা বন্ধ পাই। ডাকাডাকি করার পরে মিজান সরদার দরজা খুলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। আর আমার মেয়েকে সেখান থেকে উদ্ধার করি। আমরা লম্পট মিজান সরদারের উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।

শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা শিশু ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত মিজান সরদারকে গ্রেফতার করি।

শিশুটিকে মেডিকেল টেস্টের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। আসামীকে মাদারীপুর কোর্টে প্রেরন করেছি। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।