সারা দেশে আজ বই উৎসব

প্রকাশিত: ১০:৩৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১, ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : সারা দেশে বই উৎসব অনুষ্ঠিত হবে আজ রোববার। দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই বিতরণের মধ্য দিয়ে বই উৎসবের আয়োজন করা হবে।

আজ রোববার সকালে কেন্দ্রীয়ভাবে গাজীপুরের কাপাসিয়া সদর উপজেলার কাপাসিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে হবে মাধ্যমিকের বই উৎসব। প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরের বই উৎসব হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে। সকাল ১০টায় এই স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বছরের পাঠ্যবই তুলে দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়ন দলের ৫ সদস্যকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।

এর আগে নানা সংকটে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের শুরুতে বই উৎসব হওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। তবে সব সংকট কাটিয়ে উৎসবের মাধ্যমেই নতুন বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছে সরকার। সংকটের কারণে সব শিক্ষার্থী সব বই হয়তো পাবে না, তবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) লক্ষ্য, উৎসবের দিন শিক্ষার্থীরা যাতে একটি হলেও নতুন বই পায়। এদিকে যেসব প্রতিষ্ঠানে কম বই গেছে, সেখানে শিক্ষার্থীর বই হাতে তুলে দিয়ে ছবি তোলার মাধ্যমেই শেষ হবে বই উৎসব।

গতকাল শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের বই উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রতি শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীর হাতে এক সেট করে বই তুলে দিয়েছেন তিনি। এদিকে কেন্দ্রীয় উৎসবের পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আনন্দমুখর পরিবেশে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এনসিটিবি। আজ দেশের প্রতিটি জেলায় আলাদা আলাদাভাবে বই উৎসবে অংশ নেবেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্বনামধন্য ব্যক্তিরা।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইনের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে সারা দেশের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন পাঠ্যপুস্তক বিতরণের জন্য ১ জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস-২০২৩ উদযাপন করা হবে। অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠু, সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজনের জন্য মাউশির আওতাধীন মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সবাইকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এদিকে রাজধানীর প্রতিষ্ঠানগুলো মোট বইয়ের অধিকাংশ পেলেও জেলা-উপজেলার অনেক প্রতিষ্ঠানই সমান সংখ্যক বই পায়নি। এসব জায়গার প্রতিষ্ঠানগুলোর কোথাও অর্ধেক বই গেলেও, অনেক প্রতিষ্ঠানে গেছে মাত্র কয়েক সেট। যে কয়েক সেট বই গেছে সেগুলো দিয়েই বই উৎসব করা হবে। ফলে শিক্ষার্থীদের বই হাতে তুলে দিয়ে ছবি তোলার মাধ্যমেই শেষ হবে এসব জায়গার বই উৎসব।