ঝুঁকিপূর্ণ ঘরে বসবাস, আতঙ্কে রাত কাটে সিন্দুবালার দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম প্রকাশিত: ৫:৪১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৪, ২০২২ অনলাইন ডেস্ক ; বিধবা সিন্দুবালা সরকার। বয়স ৬২ বছর ছুঁইছুঁই। ছয় বছর আগে মারা গেছেন স্বামী। নেই কোন সন্তান। অন্যের বাড়িতে শ্রম নিয়ে কোনোমতে জীবনযাপন করেন। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ঘরে বসবাস। কুয়াশা-বৃষ্টি-বাতাসের আতঙ্কে ভাঙা ঘরে নির্ঘুম রাত কাটে তার। এই বৃদ্ধা সিন্দুবালার বাড়ি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের ইউনিয়নের তরফবাজিত (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের। এই গ্রামের মৃত মনিন্দ্রনাথ সরকারের স্ত্রী। সোমবার দুপুরে সরেজমিনে জানা যায়, মাত্র কয়েক শতক জমি রেখে সিন্দুবালার স্বামী মারা গেছেন। এছাড়া নেই কোনো সহায়-সম্বল। ইতোমধ্যে বয়সের ভারে ন্যুয়ে পড়লেও জীবিকার তাগিদে ছুটতে হচ্ছে কৃষকের মাঠে বা অন্যের দুয়ারে। বেঁচে থাকার তাগিদে কখনো কৃষকের ফসলি জমিতে শ্রম বিক্রি, আবার কখনো অন্যের বাড়িতে করতে হয় ঝিয়ের কাজ। এভাবে জীবিকা নির্বাহ করে চলছেন সিন্দুবালা। এরই মধ্যে ওইসব কাজের জন্যও কদর কমেছে তার। কারণ একটাই, বার্ধক্য বয়স ও নানা অসুস্থতার কারণে এলাকার মানুষ তাকে এখন কাজের জন্য তেমনটা ডাকেন না। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে সিন্দুবালাকে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ওই বিধবার একমাত্র শোবার ঘরটিও জরাজীর্ণ অবস্থা। ছিদ্র টিনের চালায় লাগানো হয়েছে পলিথিন ও তিরপল। দিনের বেলায় বেড়ার ফুটো দিয়ে দেখা যায় সূর্যের আলো। রাতে চালার উপরে দিয়ে নজরকাড়ে আসমানের তারা। জোড়াতালি এ ভাঙা ঘরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করে চলছেন সিন্দুবালা। এক মুঠো অন্নের যোগানে সারাদিন হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে রাতে ঠিকভাবে ঘুমাবেন কিন্তু চোখে আসে না ঘুম। শীতের কুশায় আর বৃষ্টি-বাতাসে আতঙ্কে একাকী নির্ঘুম রাত কাটে তার। বর্ষাকালে আকাশের মেঘ দেখলে দৌঁড় দিতে হয় অন্যের বাড়িতে। আর শীতকালে কনকনে বাতাস আর কুয়াশায় ভিজে যায় বিছানাপত্র। নানা প্রতিকুলতার মধ্যে ঝুঁকিপুর্ণ এ ঘরে বসবাসের কারণে বিভিন্ন রোগ বাসা বেঁধেছে সিন্দুবালার শরীরে। এসব রোগ নিরাময়ে নিয়মিত ওষুধ খাবেন, এমন সামর্থও নেই তার। একেবারই জীবনযুদ্ধে পরাজিত হয়ে কোনোমতে বেঁচে রয়েছে ওই ভাঙা ঘরটিতে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জরাজীর্ণ ঘরেই একাকী বসাবাস করে চলছেন। কান্নাজড়িত কন্ঠে বিধবা সিন্দুবালা বলেন, সরকারি বরাদ্দে ঘর পাবার জন্য উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো কাজ হয়নি। কোনো ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের পক্ষে আমাকে যদি একটু মাথা গোজার ঠাঁই করে দিতেন, তাহলে হয়তো শেষ বয়সে শান্তিতে ঘুমাতে পারতাম। স্থানীয় সুনিল চন্দ্র সিপন নামের এক ব্যক্তি জানান, স্বামী হারিয়ে সিন্দুবালা এখন খুবই কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। একটি মাত্র ঘর, তাও আবার ভাঙাচুরা। একদম বসবাস অনুপযোগি। সরকারি কিংবা কোনো ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান তাকে পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করে দিলে ভালো হতো। জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মন্ডল বলেন, অন্যান্য ব্যাপারে সিন্দুবালাকে সুবিধাদি দেওয়া হয়। ঘরের বিষয়টি দেখা হবে। সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. রোকসানা বেগম বলেন, জামালপুর ইউনিয়নে যখন খাস জমিতে ঘর নির্মাণ হবে, তখন উনি যদি সেখানে যেতে চান তাহলে ঘর দেয়া যাবে। Share this:FacebookX Related posts: ঠাকুরগাঁওয়ে ভিক্ষুক পুনর্বাসনে গরু প্রদান ভূরুঙ্গামারীতে দলিত সম্প্রদায়ের মধ্যে কম্বল বিতরণ করলেন বিদায়ী পুলিশ সুপার প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা পেলেন বীরাঙ্গনা জোহরা বেগম রাস্তায় ফেলে রাখা বৃদ্ধ নারীর পাশে ইউএনও ও রিপোর্টার্স ইউনিটি সেই স্কুলছাত্রকে নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশের কব্জায় দুইজন পঞ্চগড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে নিহত-১ উলিপুরে ঢাকাগামী নাইটকোচসহ বিভিন্ন অপরাধে জরিমানা হারিয়ে যাওয়া সানি খুঁজে পেল পরিবারকে পঞ্চগড়ে সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু বোরহানউদ্দিনে ৩ মেধাবী শিক্ষার্থীর দ্বায়িত্ব নিলেন পৌর মেয়র পঞ্চগড় পৌরসভায় প্রথম নারী মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিলেন জাকিয়া আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হিলিতে কাঁচা মরিচের দাম অর্ধেকে নেমেছে SHARES Matched Content দেশের খবর বিষয়: আতঙ্কে রাত কাটেঝুঁকিপূর্ণ ঘরেবসবাসসিন্দুবালার