চিতলমারীতে সিত্রাংয়ে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি; বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এখনো

প্রকাশিত: ৩:৪৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৮, ২০২২
চিতলমারীতে সিত্রাংয়ে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি; বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এখনো

বিভাষ দাস, চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: বাগেরহাটের চিতলমারীতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ঝড় প্রবল রূপ নেয়। এসময় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ২৫০টি বসতবাড়ী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। একই সাথে প্রায় ১৩০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। তবে সরকারী ভাবে দেয়া এই হিসাবকে সাধারণ জনগন মনগড়া হিসাব আখ্যা দিয়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২ কোটি টাকা হবে বলে জানিয়েছে।

বিলম্বে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানাযায়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে উপজেলার চর বানিয়ারী, হিজলা ও সন্তোষপুর ইউনিয়নের প্রায় ১৫ হাজার কৃষকের টমোটো, শশা, কলাসহ বিভিন্ন সবজি বিনষ্ট হয়েছে। এছাড়া বড়বাড়িয়া, কলাতলা, হিজলা, শিবপুর, চিতলমারী ইউনিয়নের ১২/১৫ হাজার কৃষকের আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া এসব এলাকায় গলদা ও বাগদা চিংড়ী মাছের কোটি টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে।

উপজেলার অশোক নগর গ্রামের টমেটো চাষী ভিষ্ম বড়াল, বাওয়ালী পাড়া এলাকার টমেটো চাষী অসীম বাড়ৈ, দানোখালী গ্রামের চিংড়ী চাষী কৃষ্ণ গাইন, হিজলা গ্রামের মুরগী চাষী লেলিন খান ও ব্রহ্মগাতী গ্রামের কলাচাষী ইলিয়াছ মিয়া জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে তাদের লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে যা সরকারী হিসাবে সম্পূর্ণ আসেনি। সমস্ত চাষীদের ক্ষতির পরিমাণ হিসাব করলে ২ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো: সিফাত আল মারুফ জানিয়েছেন, এ উপজেলায় ৪৮৯০ হেক্টর ফসলি জমিতে রোপা আমন, ৩৬ হেক্টর জমিতে পান, ৩৩ হেক্টর জমিতে বোনা আমনসহ ৬০১৪ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসলের চাষ হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে এখানকার চাষীদের প্রায় ২২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

বুধবার দুপুরে চিতলমারী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম মো: শহিদুল ইসলাম জানান, ঝড়ে প্রায় ২০০ জায়গায় বিদ্যুৎ এর তারের উপর গাছ পড়েছে, ৬০ জায়গায় তার ছিড়েছে এবং ২০টি খুটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পুরা উপজেলায় বিদ্যুৎ পেতে এখনও দু’একদিন সময় লাগবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে এ উপজেলায় প্রায় ২৫০টি বসতবাড়ী, জমির ফসল, মুরগীর খামার, পল্লীবিদ্যুৎসহ ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সরকারি ভাবে আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের টিনসহ আর্থিক সহায়তা প্রদান করছি।