কেন্দুয়ায় শত্রুতার বিষে পুড়ল কৃষকের আমন ধান

প্রকাশিত: ২:০২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৪, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক ; নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় মামলা-মোকদ্দমা ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক কৃষকের ৩৫ শতাংশ জমির আমন ধান কীটনাশক প্রয়োগের মাধ্যমে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের গগডা উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে কেন্দুয়া থানা পুলিশ।

এর আগে গত সোমবার (১০ অক্টোবর) রাত ১০টার থেকে মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) ভোর ৪টার মধ্যে ওই ধান ক্ষেতে কীটনাশক প্রয়োগের এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গগডা উত্তরপাড়া গ্রামের কৃষক তারা মিয়া তার খরিদকৃত ৩৫ শতাংশ জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছিলেন। আবাদকৃত ওই জমির অংশীদার দাবি করে আসছিলেন একই গ্রামের এলাই মিয়া ও তাদের লোকজন। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উভয়পক্ষের মধ্যে পূর্ব শত্রুতা ও মামলা-মোকদ্দমা চলে আসছে। বিষয়টি মীমাংসার জন্য স্থানীয় মাতব্বরগণ দরবার সালিশও করেছেন। কিন্তু এলাই মিয়া ও তাদের লোকজন সালিশের সিদ্ধান্ত না মানায় তা সমাধান হচ্ছিল না। এরই মধ্যে গত ১১ অক্টোবর সকালে তারা মিয়া তার ধান ক্ষেতে গেলে খেতের সব ধান গাছ পোড়া দেখতে পান। পরে ওই দিনই তারা মিয়া বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের ৯ জনের নামোল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

কৃষক তারা মিয়া বলেন, শত্রুতার জের ধরে এলাই মিয়া ও তার লোকজনই আমার আমন ধান ক্ষেত বিষ দিয়ে পুড়িয়েছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিপক্ষের এলাই মিয়া বলেন, আমরা বিষ দেইনি। আমাদেরকে হয়রানি করার জন্য শত্রুতা করে তারা নিজেরাই নিজেদের ধান খেতে বিষ দিয়ে পুড়িয়েছে এবং আমাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছে।

এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী হোসেন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার বিকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।