মেসে ডেকে নারী গার্ডকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ২ নিরাপত্তা কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ৪:১৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৮, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : সাভারের আশুলিয়ায় এক নারী গার্ডকে মেসে ডেকে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে জিফোরএস নামে বেসরকারি সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠানের দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার রাতে আশুলিয়ার বুড়ির বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এর আগে গত ৬ অক্টোবর রাত পৌনে ৯টার দিকে বুড়ির বাজার এলাকার দারা মিয়ার বাড়ির নীচতলায় জিফোরএস সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠানের পুরুষ গার্ডদের মেসে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার পেগইল মধ্যপাড়া গ্রামের আনসার আলীর ছেলে মো. ফেরদৌস খন্দকার (৩৮) ও দিনাজপুর জেলার পারবর্তীপুর থানার খোপতল গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে মাসুদ আবেদীন (৩০)। তারা দুজন একই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা কর্মকর্তা।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারী গার্ড গত দুই বছর ধরে জিফোরএস প্রতিষ্ঠানে নারী নিরাপত্তাকর্মী হিসাবে আশুলিয়ার ডিইপিজেড এরিয়ায় কাজ করছেন। এই সুবাদে আশুলিয়ার বুড়িরবাজার এলাকায় কোম্পানির মেসে অন্যান্য নারী সহকর্মীদের সঙ্গে বসবাস করেন। গত ৬ অক্টোবর একই মেসের অপর নারী নিরাপত্তাকর্মী আমেনার সাথে ঝগড়ার একপর্যায়ে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ভেঙে ফেলেন। এ ঘটনায় পার্শ্ববর্তী দারা মিয়ার বাসার নিচতলা ভাড়া নিয়ে বসবাসকারী একই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের কাছে মোবাইল ভাঙার বিচার দেন ভুক্তভোগী।

এ সময় তাকে অন্যান্য নারী সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে তাদের কক্ষে যেতে বলেন অভিযুক্ত কর্মকর্তারা। তাদের কথামতো ভুক্তভোগী নারী গার্ড অন্য সহকর্মীদের সাথে নিয়ে ওই মেসে যাযন। বিষয়টির মীমাংসা শেষে ভুক্তভোগীকে বাদে অন্যান্যদের চলে যেতে বলেন কর্মকর্তারা। পরে কৌশলে দরজা আটকে দিয়ে ওই গার্ডকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ৭ অক্টোবর সকালে মামলা দায়ের করেন। পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুর রাশিদ বলেন, দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের গ্রেপ্তার করে শনিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ভুক্তভোগী ওই গার্ডকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।