সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার দুই গার্মেন্টসকর্মী নারী, গ্রেপ্তার ৪

প্রকাশিত: ২:১৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় দুই গার্মেন্টসকর্মীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার লক্ষীকোলা গ্রামের বাকী বিল্লাহর ছেলে আল আমিন (২৫), নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার গোপালপুরের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে আব্দুর রশীদ (৩৫), লক্ষীকোলা গ্রামের নায়েব আলী সরদারের ছেলে মহিদুল সরদার (৩৫) এবং বড়াইগ্রাম থানার রাজাপুরের চাঁন মিঞার ছেলে জাবেদ (৩৫)।

মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মাস খানেক আগে ঢাকার আশুলিয়ায় গার্মেন্টসে চাকরি করার সুবাদে গার্মেন্টসের এক নারী কর্মীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে আল আমিনের। শনিবার সকালে মুঠোফোনে আল আমিন ওই নারীকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে ঈশ্বরদী শহরে ডেকে আনেন। তাঁর সঙ্গে ঢাকা থেকে এক সহকর্মীও ঈশ্বরদীতে ঘুরতে আসেন। পরে ওই দুই নারীকে নিয়ে আল আমিন বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে রাত আটটার দিকে মুলাডুলি কৃষি ফার্ম এলাকার আখের ক্ষেত নিয়ে যান। সেখানে আল আমিন ও আব্দুর রশীদ তাদের ধর্ষণ করে। এ সময় ওই দুই নারী তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে ওই জায়গায় আরও তিন ব্যক্তি আসেন। তখন আল আমিন ও আব্দুর রশীদ মেয়েটিকে রেখে চলে যান। পরে দুজন ওই তিন ব্যক্তির কাছে সাহায্য চাইলে তারাও ধর্ষণ করেন। এ সময় কান্নার শব্দ শুনতে পেয়ে জনৈক এক সিএনজিচালক পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে ভিকটিমদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যায়।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরবিন্দ সরকার বলেন, ঘটনাটি জানার পর থেকেই অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশের অভিযান শুরু হয়। রাতভর অভিযান চালিয়ে কুষ্টিয়া ও বড়াইগ্রাম এলাকা থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতে হাজির করার পর রিমান্ডের আবেদন করা হবে। ওই নারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।