প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের মেয়েকে হত্যা করলো মা

প্রকাশিত: ১১:৪৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২

এম,এ মালেক,হালুয়াঘাটঃ
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার জুগলী ইউনিয়নের ঘিলাভূই গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরুদের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের (দুই) বছরের মেয়ে আয়েশা খাতুন কে প্রথমে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে পানির কুয়ায় লাশ ফেলে আসে মা আম্বিয়া খাতুন ( ৩৫) এ কাজে সহযোগিতা করেছে বাবা বাদশা মিয়া (৩৫) ।

এ ঘটনায় বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) নিহতের দাদি জুবেদা খাতুন বাদী হয়ে দুজন কে আসামি করে হালুয়াঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে আম্বিয়ার সঙ্গে তার বড় ভাই তোফাজ্জল হোসেন ও তার আত্মীয়দের জমির ওয়ারিশ নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ ঘটনায় তাদের ফাঁসাতে হত্যার পরিকল্পনা করে নিহত শিশু আয়েশার মা ও বাবা।

পরিকল্পনা অনুযায়ী গত মঙ্গলবার রাতে আম্বিয়া পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তার দু বছরের শিশু কন্যাকে বালিশ চাপা দিয়ে প্রথমে হত্যা করে। পরে রাতের অন্ধকারে পার্শ্ববর্তী হালিমা খাতুনের পানির কুয়ায় লাশ ফেলে আসে। এ ঘটনায় তার স্বামী তাকে সহযোগিতা করেন। বিষয়টি ভিন্নভাবে উপস্থাপনের জন্য তোফাজ্জল হোসেন হত্যা করেছে বলে ছড়িয়ে দেন। পুলিশের জিজ্ঞাসার মুখে অবশেষে হত্যা নিজেই করেছেন বলে স্বীকার করেন আম্বিয়া।

মামলার বাদী নিহত শিশুর দাদী জুবেদা খাতুন বলেন, জমির ওয়ারিশের জন্য নিজের কন্যাকে কেউ এভাবে হত্যা করতে পারে। আমি এদের ফাঁসি চাই। আর যেন কোন বাবা-মা নিজের সন্তানকে জেন এভাবে হত্যা করতে না পারে।

হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহিনুজ্জামান খান এ বিষয়ে জানান, গভীর রাতে দুই বছরের শিশু হেঁটে হেঁটে কুয়াতে পড়তে পারে না। আর শিশুটি যেহেতু মা-বাবার সঙ্গে ছিল, তাই তাৎক্ষণিক আমরা নিহত শিশুর বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসি। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে নিহত শিশুর মা আম্বিয়া তার ভাই তোফাজ্জল ও তার আত্মীয়দের ফাঁসাতে হত্যাকান্ড ঘটিয়েছেন বলে স্বীকার করেন। এ ঘটনায় তার স্বামী তাকে সহযোগিতা করেন বলে জানান,এবং আদালতে আম্বিয়া খাতুন এ হত্যা নিজেই করেছেন বলে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ কাজে তার স্বামী বাদশা মিয়া তাকে সহায়তা করেছেন।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার পূর্ব ঘিলাভূই গ্রামের বাদশা মিয়ার বসতভিটার পাশে বিশুদ্ধ পানির জন্য নির্মিত কুয়ায় দুই বছরের শিশু কন্যা আয়েশা খাতুনের লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।