ফসলি জমি বাঁচাতে কৃষকদের মানববন্ধন

প্রকাশিত: ৪:২৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০২০

নিউজ ডেস্কঃ চুয়াডাঙ্গা জীবননগরে আবাদী ফসলি জমি বাঁচাতে কৃষকরা মানববন্ধন করেছেন। জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের শাখারিয়া গ্রামে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।জানা গেছে, গেল বছর ১৭ ফেব্রয়ারি দুই কোটি ১২ লাখ পঁচাত্তর হাজার টাকা ব্যায়ে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড চুয়াডাঙ্গা জেলার অভ্যন্তরস্থ ছোট নদী, খাল এবং জলাশয় পুনঃখনন প্রকল্পের আওতায় জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের শাখারিয়া গ্রামের মাঠে নৌকার খাল পুনঃখননের নামে কৃষকদের রেকোটিয়ো আবাদি ফসলি জমি জোরপূর্বক দখল করে খাল খনন করার অভিযোগ উঠেছে।কৃষকদের দাবি, সরকারি জমিতে যে খাল ছিলো তার চেয়ে বেশি জমি দখল করে খাল খনন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে উদ্ধতর্ন কতৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানানো হলেও তার কোন প্রতিকার না পেয়ে গতকাল গ্রামবাসী খালের উপর মানববন্ধন করেন।

কৃষক আজিজুল হক অভিযোগ করে বলেন, শাখারিয়া মাঠের মধ্যে অনেক বছর ধরে খাল ছিলো এ খালটি পুনঃখনন করার জন্য বর্তমান সরকারকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের উদাসিনতার ফলে সরকারি জমি বাদেও তারা আমাদের রেকোটিয়ো জমি দখল করে খাল খনন করছে। যার ফলে কৃষকরা হতাশার মধ্যে দিন যাপন করছে। একই অভিযোগ করেন আয়ুব আলী তিনি বলেন, আমাদের একমাত্র আয়ের উৎস চাষাবাদ। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা গায়ের জোরে আমাদের মালিকানা জমি দখল করে তারা খাল খননের নামে জমি দখল করছে। এমন কি যে জমি দখল করছে তাতে ভুট্রা ও গম আছে সেগুলো তারা মাটি দিয়ে নষ্ঠ করছে। আমরা প্রতিবাদ করায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিসাররা আমাদের মামলা দেওয়ার ভয় দেখাচ্ছে। যে ভাবে তারা খাল খনন করছে তাতে করে প্রায় ১৫ শ বিঘা ফসলি জমি নষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে।এ বিষয়ে আমরা গ্রামবাসী গণস্বাক্ষর দিয়ে জেলা প্রশাসক, ইউএনও, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি কোন প্রতিকার হয়নি।

সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যান ময়েন উদ্দিন মঈন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড যে খাল খনন করছে এটা একটা ভালো কাজ। কিন্তু এখানে কৃষকদের ফসলি জমি নষ্ঠ করে খাল খনন করার ফলে কৃষকরা নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। তবে সরকারি ভাবে যদি সে জমির মালিকদের নিকট থেকে ন্যায্য মূল্যে দিয়ে জমিগুলো ক্রয় করে তা হলে কৃষকদের জন্য উপকার হতো।জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজুল ইসলাম বলেন, খাল খনন নিয়ে কৃষকরা যে অভিযোগ করেছে এ বিষয়ে আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। আশা করি খুব শিঘ্রই এর সমাধান হবে।বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সুবীর কুমার ভট্রাচার্য্য বলেন, খাল খনন নিয়ে যে জটিলতা সৃষ্ঠি হয়েছে বিষয়টি নিয়ে আমরা স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছি তাদেরকে বলেছি সরকারি জমি ছাড়া আমরা কোন খাল খনন করবো না। তার পরও তারা কাজে বাধা দিচ্ছে। এখানে একটি স্বার্থনেশী ব্যাক্তিরা কৃষকদের ভুল বুঝিয়ে এ কাজটি করছে। আমরা কোন কৃষককে ক্ষতি করে কোন কিছু করবো না।