নিখোঁজের দুইদিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার, ভাবীসহ আটক ২

প্রকাশিত: ৬:১০ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৮, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে নিখোঁজের দুইদিন পর এক শিশু শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত শিশুর নাম হুমায়ারা (৮)।

বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের নয়াগাঁও এলাকায় একটি কাঠ বাগান থেকে মাটিতে পুতে রাখা অবস্থায় ওই শিশু শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বৈশাখী আক্তার ও মনোয়ারা বেগম নামের দুই নারীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত বৈশাখী আক্তার নিহত হুমায়রার ভাবি ও মনোয়ারা বেগম বৈশাখীর মা।

নিহত হুমায়ারা উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মৃধাকান্দি গ্রামের দুলাল মিয়ার মেয়ে। সে নাগেরগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মৃধাকান্দি গ্রামের দুলাল মিয়ার মেয়ে হুমায়রা গত মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে নিখোঁজ ছিল। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে তার কোন সন্ধান না পেয়ে তার বাবা ওইদিন সন্ধ্যায় সোনারগাঁও থানায় সাধারণ ডায়রী করেন। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের নয়াগাঁও এলাকায় একটি কাঠ বাগানে মাটি চাপা দেওয়া অবস্থা নিখোঁজ একটি শিশু লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়৷ পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হুমায়রার নামে নিখোঁজ হওয়া ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে।

এদিকে পরিবারের লোকজন নিহত হুমায়রার বড় ভাই সজিবের বউ ভাবি বৈশাখী আক্তার ও বৈশাখীর মা মনোয়ারা বেগমকে এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুললে পুলিশ বৈশাখী আক্তার ও মনোয়ারা বেগমকে আটক করে। এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে আরো কেউ জড়িত থাকার সন্দেহ করেছেন নিহতের মা।

পুলিশ ও এলাকাবাসির ধারণা, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে।

নিহতের পিতা দুলাল মিয়া জানান, আমার ছেলে সজিবের স্ত্রী বৈশাখীর সাথে সে মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। এরপর থেকে হুমায়ারা নিখোঁজ হয়। পরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে কোন সন্ধান না পেয়ে তারা সোনারগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে পারিবারিক কলহে হত্যা করে আমার ছেলের বউ। আমি আমার নিস্পাপ মেয়ের হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।

সোনারগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, ধারণা করা হচ্ছে শিশুটি হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় এখনো কোনো অভিযোগ বা মামলা হয়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নিহতের ভাবিসহ ২ জনকে আটক করা হয়েছে।

ঘটনাস্থলে আসা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো: আমীর খসরু জানান, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকান্ড হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটককৃত দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদসহ মামলার প্রক্রিয়া চলছে। আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।