চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণ মামলার আসামী আমিরুল গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১০:০৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ১২, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : ফরিদপুরে চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি আমিরুল মৃধা (৩০) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে‌ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে সাংবাদিকদের বিভিন্ন তথ্য প্রদান করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার) জামাল পাশা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ জলিল। এতে ফরিদপুরে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।

কোতয়ালী থানার মামলানং-৬২ তাং-২০-৬-২০২২, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/০৩) এর ৯(১)।

বাদীনি চম্পা বেগম (২৫), স্বামী- জসিম মাতুব্বর, ইউসুব দিয়া, ভাওয়াল, থানা-সালথা, এ/পি-কমলাপুর পিয়ন কলোনী, থানা-কোতয়ালী, জেলা-ফরিদপুর থানায় হাজির হয়ে আসামী আমিরুল মৃধা (৩০), পিতা- মৃত আনোয়ার মৃধা, খরসুতি, থানা- বোয়ালমারী, কমলাপুর, চানমারী পিয়ন কলোনী, দক্ষিন কালীবাড়ী, আকবর মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া, থানা-কোতয়ালী, জেলা-ফরিদপুরের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন যে, আসামী একজন খারাপ চরিত্রের, ধর্ষণকারী।বাদীনির মেয়ে মারিয়া (৮) সে ঝিলটুলী মডেল স্কুলে ১ম শ্রেনীতে পড়াশোনা করে। বাদীনির স্বামী জীবিকার তাগিদে দুবাই থাকে। বাদীনি তার বাসার পার্শ্ববর্তী সুফিয়ার মেসে রান্নার কাজ করে।

গত ইং ১৯ জুন ২২ বেলা অনুমান ১২ টার সময় বাদীনির মেয়ে স্কুল থেকে বাসায় আসে। কিছু সময় পর চানমারী পিয়ন কলোনীতে বাদীনির ভাইয়ের দোকানে পটেটো কেনার জন্য যায়। ঐসময় উক্ত আসামী বর্ণিত দোকানে উপস্থিত ছিল। ভিকটিম মারিয়া বাসায় ফেরার পথে বাদীনির মেয়েকে দেখিয়া টাকার লোভ দেখাইয়া সেখান থেকে তাহার হাত ধরিয়া চর কমলাপুর চানমারী পিয়ন কলোনী বঙ্গবন্ধু মহিলা হোসটেলের পিছনে নির্জন জঙ্গলে একই তারিখ বেলা অনুমান ১২.৩৫ টার সময় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তাকে ভয়ভীতি দেখাইয়া তাহার পরনের হাফ প্যান্ট খুলিয়া তাকে মাটিতে শুইয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।

ধর্ষণের ফলে বাদীনির মেয়ের যৌনাঙ্গে মারাত্মক রক্তাক্ত ও জখম হয়। উক্ত আসামী বাদীনি মেয়েকে বলে যে, এই কথা বাসার কাউকে জানাবিনা, জানালে তোকে মেরে ফেলবো বলে বাদীনির মেয়েকে ঘটনাস্থালে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়া যায়। পরবর্তীতে বাদীনির মেয়ে বাসায় এসে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে বাদী তাহার মেয়ের নিকট হইতে ঘটনার বিষয় বিস্তারিত জানে। বাদীনির নাবালিকা মেয়ের যৌনাঙ্গে মারাত্মক রক্তাক্ত ও জখম দেখিতে পাইয়া তাহাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ফরিদপুরে নিয়ে ভর্তি করে।

ঘটনার বিষয়ে বাদীনির এজাহারের ভিত্তিতে বর্ণিত মামলাটি রুজু হয়। ঘটনার পর পরই মামলার আসামী পলাতক ছিল। মামলার তদন্তকারী অফিসার এস আই ফরহাদ হোসেন সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করিয়া ১১জুলাই তারিখ ৯.৩৫ টার সময় ফরিদপুর নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা হতে আসামীকে গ্রেফতার করেন। তাকে বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হচ্ছে।