ধর্মপাশায় ঘর বন্দি হাওরের পাড়ের লক্ষাধিক মানুষ মিলছেনা কোনো সহায়তা

প্রকাশিত: ১০:৫০ অপরাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২২

ধর্মপাশা প্রতিনিধি : টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারনে হাওর বেষ্টিত ধর্মপাশা ও নব ঘোষিত মধ্যনগর উপজেলায় দিনে ও রাতে সমান তালে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জীবন বাঁচানোর ভয়ে রয়েছেনে এলাকার লোকজন। অনেকে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন বন্যার আতঙ্কে।
স্থানীয়দের মতে, গত ১৯৮৮ সালের বন্যাকে অতিক্রম করেছে। আর এভাবে যদি পানি বাড়তে থাকে তাহলে এবারের বন্যা ১৯৭৪ সালের বন্যাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে।

হাওরাঞ্চলে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের বহুতল ভবন গুলো খুলে দেওয়া হলেও জায়গা অপ্রতুল থাকার দরুন কিছু পরিবার গবাদি পশু নিয়ে থাকতে পারলেও বেশির ভাগ মানুষ গবাদি পশু নিয়ে রয়েছেন বিপাকে । অবস্থা এতই বেগতিক যে, মানুষ এখন আশ্রয়ও পাচ্ছেন না, বলে জানা গেছে। ফলে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন বানবাসীরা।

স্থানীয়রা বলছেন, ভারি বর্ষণ আর উজানের ঢলে পানি অনবরত ‍বৃদ্ধি পাচ্ছে এতে বেশি প্লাবিত হচ্ছে হাওরাঞ্চল । বন্যার জলে ডুবে যাচ্ছে বাড়ি ঘর এরই মধ্যে লক্ষাথিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এমন অবস্থায় সরকারি সহায়তাও পৌছাচ্ছেনা সকল মানুষের কাছে। বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ সহযোগিতা নিয়ে প্রশাসন তৎপর থাকলেও তা উপজেলা সদরের আশে পাশেই এর বাহিরের গ্রাম গুলোতে এখনো পৌছায়নি বলে জানান ঘর বন্দি মানুষজন ।

তারা আরও বলেন, আগে বন্যা কবলিত মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের সুখাইড় গ্রামের বাসিন্দা দীপক চন্দ্র দাস বলেন, “আমার ঘরের ভিতরে পানি রান্না করতে পারছিনা গরু ও ধান নিয়ে বিপাকে আছি এখন পর্যন্ত কোন সহযোগিতাও পাচ্ছিনা।বন্যার পানি আরও বাড়লে আমাদের ঘরে পড়েই মরতে হবে ।”

সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোঃ বাবুল মিয়া,জানান ‘সুখাইড় আশ্রয়ন কেন্দ্রে, ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ২য় তলায় ও সুখাইড় জমিদার বাড়ি আশ্রয় কেন্দ্রে ৩৫০ টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে । আশ্রয় কেন্দ্রে জায়গা না থাকার কারনে এলাকার বেশির ভাগ মানুষ গবাদি পশু নিয়ে ঘর বন্দি রয়েছে ,এখন পর্যন্ত কোন ধরনের সরকারি সহায়তা পাইনি , ঘর বন্দি মানুষদের উদ্ধারসহ খাদ্য সহায়তার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবী জানাচ্ছি ।

মধ্যনগর ইউপি চেয়ারম্যান সঞ্জিব তালুকদার টিটু বলেন, শনিবার বিকেলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দের টন চাল ও এমপি মহোদয় থেকে ৩০০ কেজি চাল ও নগদ ২০,০০০ বিশ হাজার টাকা পেয়েছি আগামী কাল থেকে বন্যা দূর্গতদেরকে খিচুরী রান্না করে দেয়া হবে । এর আগে আমি আমার ব্যক্তি গত তহবিল থেকে সাধ্যমতো শুকনো খাবার দিয়েছি ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির হাসান পলাশ বলেন, “রবিবার থেকে উপজেলার সব কটি আশ্রয় কেন্দ্র সহ সকল ঘর বন্দি মানুষদেরকে খিচুরী দেওয়া হবে এবং ঘর বন্দি মানুষদেরকে উদ্ধার করার জন্য ইঞ্জিন চালিত নৌকার ব্যবস্থা করা আছে ।”