টিপু হত্যা: ওমানে গ্রেফতার মুসাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে

প্রকাশিত: ১০:০৫ অপরাহ্ণ, জুন ৯, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতি হত্যার ঘটনায় ওমানে গ্রেফতার সুমন শিকদার মুসাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে পুলিশের তিন সদস্যের একটি দল।

পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম বলেন, প্রথমে ইন্টারপোল মুসাকে গ্রেফতারের বিষয়টি জানায়। পরে ওমান পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে ফেরত আনতে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।

গত রোববার (৫ জুন) বাংলাদেশ পুলিশের একটি দল তাকে ফিরিয়ে আনতে ওমানে গিয়েছিল।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, মুসাকে শাহজালাল থেকে সরাসরি মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হবে। সেখানে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজই তাকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চাওয়া হবে।

গত ২৪ মার্চ রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ওরফে টিপুকে হত্যা করা হয়। সড়কে যানজটে আটকা পড়ে রিকশায় বসে থাকা কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

২৫ মার্চ দুপুরে নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রী স্থানীয় নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদি হয়ে শাহজাহানপুর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২৬ মার্চ রাতে বগুড়া থেকে মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশ নামে একজনকে গ্রেফতার করে ডিবি। যিনি সরাসরি টিপুকে লক্ষ্য করে গুলি করেছিলেন।

০২ এপ্রিল মুসার ভাই সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহ, মতিঝিল থানার ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুকসহ চার জনকে গ্রেফতার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

র‌্যাব জানায়, চাঁদাবাজি ও দরপত্র নিয়ে আধিপত্যের দ্বন্দ্ব, রিয়াজুল হক মিল্কী হত্যার বদলা এবং বোঁচা বাবু হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে টিপুকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ওমর ফারুকসহ স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা।