গৃহবধুর মরদেহ হাসপাতালে রেখে উধাও স্বামী

প্রকাশিত: ৯:০৯ অপরাহ্ণ, মে ২১, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গৃহবধূর মরদেহ ফেলে রেখে পালিয়েছে ঘাতক স্বামী ও তার স্বজনরা।
গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর মরদেহ উদ্ধার করে সুরুতহালের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে মোহনপুর থানা পুলিশ।

নিহতের স্বজনরা জানান, ৭ মাস আগে মোহনপুর উপজেলার বাকশিমইল গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে শিমুল হোসেনের (২৪) সঙ্গে একই উপজেলার ঘাসি গ্রামের মাজেদুল ইসলাম মৃধার মেয়ে কারিমা আক্তার মিমের (২০) বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুক ও পারিবারিক বিরোধের জেরে গৃহবধূকে প্রায়ই নির্যাতন করা হতো।

সর্বশেষ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে স্বামী ও শ্বাশুড়ি মিলে মারধরের পর শ্বাসরোধ করে মিমকে হত্যা করে। কিন্তু স্বামীর বাড়ির লোকজন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে। পরে গৃহবধূকে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় হাসপাতালে মরদেহ রেখে স্বামী ও তার স্বজনরা পালিয়ে যায়।

মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রামেকে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের লোকজন থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এখন পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।