আজ প্রয়াত সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিনের ৬ষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী

প্রকাশিত: ১২:১৬ পূর্বাহ্ণ, মে ১১, ২০২২

জোটন চন্দ্র ঘোষ,হালুয়াঘাট(ময়মনসিংহ)প্রতিনিধি : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রয়াত সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট প্রমোদ মানকিন এমপি’র ৬ষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী আজ।

মৃত্যু বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রয়াত সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর নিজ বাড়িতে সকাল ১১.০০ ঘটিকায় স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ,উপজেলা প্রশাসন, আওয়ামীলীগের অঙ্গসহযোগী সংগঠন, হালুয়াঘাট প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন,সর্বস্তরের জনগণ বুধবাবার (১১মে) সকালে প্রয়াত সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট প্রমোদ মানকিনের বিড়ইডাকুনির কচুন্দরার নিজ বাড়ির সমাধিস্থলে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করবেন।

স্মরণ সভায় উপস্থিত থাকবেন, প্রয়াত সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর কৃতি সন্তান ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া) আসনের স্থানীয় সাংসদ জুয়েল আরেং, উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক সায়েম, ধোবাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান ডেভিট রানা চিসিম, হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সোহেল রানা, হালুয়াঘাট পৌরসভার মেয়র খায়রুল আলম ভূঞা, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কবিরুল ইসলাম বেগ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আনোয়ার খোকন, যুবলীগের আহবায়ক নাজিম উদ্দিন, হালুয়াঘাট প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ্ আলম,সাধারণ সম্পাদক জোটন চন্দ্র ঘোষসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় বিভিন্নস্তরের নেতৃবৃন্ধ।

উল্লেখ যে, বিগত ২০১৬ সালে আজকের এই দিনে ভারতের মোম্বাইয়স্থ হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন মৃত্যু বরণ করেন । মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী মমতা আরেং, ৫ কন্যা আলপনা আরেং,পাঁপড়ি আরেং,মুক্তি আরেং,রুবি আরেং,মালা আরেং ও পুত্র ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া) আসনের স্থানীয় সাংসদ জুয়েল আরেংকে রেখে গেছেন।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তিনি ১৯৩৯ সালের ১৮ এপ্রিল নেত্রকোণা জেলার দূর্গাপুর উপজেলার বাকালজোড়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত গারো পরিবারে জন্মগ্রহন করেন । তার বাবা স্বর্গীয় মেঘা তজু এবং মাতা স্বর্গীয়া হৃদয় শিসিলিয়া মানকিন। তিনি ৮ ভাই-বোনদের মধ্যে পঞ্চম। ১৯৬৩ খ্রিস্টব্দে নটরডেম কলেজ থেকে বি.এ, ১৯৬৮ খ্রিস্টব্দে বি.এড এবং ১৯৮২ খ্রিস্টব্দে এ.এল.বি পাশ করেন।

ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবি সমিতির সদস্য। একজন স্কুল শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে যোগদানের মাধ্যমে তার সরাসরি সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ শুরু করেন। তিনি আমৃত্যু হালুয়াঘাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য, ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট, আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাস এর অন্যতম সদস্য, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ -খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি, খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান, দক্ষিন-পূর্ব এশিয়া মানবাধিকার কমিশন এর সদস্য ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সদস্য ছিলেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ও হালুয়াঘাটস্থ গোবরাকুড়া আমদানী-রপ্তানীকারক গ্রƒপ সমিতির সভাপতি। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শরনার্থী শিবিরের রেডক্রসের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১, ২০০১, ২০০৮ সালে

হালুয়াঘাট থেকে এবং ২০১৪ সালে হালুয়াঘাট- ধোবাউড়া থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামীলীগ সরকারের প্রথমে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ও পরবর্তিত্বে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। তার মৃত্যুতে হালুয়াঘাটের সকল রাজনৈতিক ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। প্রয়াত সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিনের মৃত্যুতে হালুয়াঘাটবাসী একজন অভিবাবকে হারায়, যা কোনদিন পূরণ হবার নয়।