তেঁতুলিয়ায় সারের তীব্র সংকট, বিপাকে কৃষক

প্রকাশিত: ১০:৫০ অপরাহ্ণ, মে ১০, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ার বিভিন্ন হাটবাজারে সারের দোকানগুলোতে মিলছে না পটাশ সার। পটাশ সারের সংকটে চরম বিপাকে পড়েছেন এ উপজেলার কৃষকরা।

তারা জানাচ্ছেন, চা বাগান, আম বাগান, আমনের মৌসুমে বীজ বপনের মৌসুমে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে পটাশ সার পাচ্ছেন না। বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে পটাশ সার। দোকানগুলোতে সামান্য যেটুকু পাওয়া যাচ্ছে তা বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।

জানা গেছে, মাস তিনেক ধরেই পটাশ সার বহু জায়গায় পাওয়াই যাচ্ছে না। পাওয়া গেলেও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। কৃষকরা বলছেন, সার কিনতে গেলে ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা সংকটের কথা বলেন। তেঁতুলিয়ায় ৪ জন সার ডিলার থাকলেও সবখানেই সারের সংকট। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছেন এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকর।

কৃষকরা জানান, বাজারে সার পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে চা বাগান, চা বাগানে আম, লিচু গাছের পরিচর্যার জন্য সার প্রয়োজন। এ ছাড়া সামনে বর্ষাকাল। এ সময়ে আমনের বীজ বপন কালে দ্রুত সারের সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে বিপাকে পড়তে হব।

উপজেলার সদর ইউনিয়নের তেলিপাড়া চা বাগানের মালিক হাবিব, দর্জিপাড়ার আব্দুল করিম, সোহরাব আলী, শারিয়ালজোত গ্রামে নুরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকটি এলাকার কৃষকরা জানান, বাজারের বহু দোকান ঘুরেও পটাশ সার পাননি। বেশি দাম দিতে চাইলেও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, ডিলাররা সার সরবরাহ করতে পারতে না পারায় আমরা আনতে পারছি না। শেষ পর্যন্ত কোন কোন দোকান থেকে বেশি দামে পটাশ সার কিনেছেন বলে জানিয়েছেন কয়েকজন কৃষক।

শালবাহান ও তিরনইহাট এলাকার কয়েকজন পাট চাষী জানান, পটাশ সার পাগলের মতো হন্য হয়ে খুঁজছি। কোথাও সার পাচ্ছি না। এই সময়টাতে পটাশ সার খুবই দরকার।

এ ব্যাপারে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চৌরাস্তা বাজারের সার ব্যবসায়ী মানিক জানান, এ মাসের পটাশ সারের মজুদ নেই। চলতি সপ্তাহে বরাদ্দ পাওয়া সার হাতে এলে ন্যায্য দামে বিক্রি করবেন। শালবাহান হাটের সার ডিলার শরিফুল ইসলাম জানান, পটাশ সারের সংকট। তবে ৪৯ বস্তার বরাদ্দ পেয়েছি। গতকাল টাকা জমা দিয়েছি। আশা করছি তিন চারদিনের মধ্যে পাব। তবে চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।

এক খুচরা সার বিক্রেতা জানান, গোপনে ডিলারদের কাছ থেকে বেশি দামে সার কিনে এনে তা বিক্রিও করা হচ্ছে বাড়তি দামে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, কোনো সারের সংকট নেই। পটাশ সারের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আশা করছি, এ মাসের মধ্যেই ডিলারদের মাধ্যমে কৃষকরা সার পেয়ে যাবেন। তাই সংকটের প্রশ্নই আসে না