লক্ষীপুরে নিখোঁজ ৪ কিশোরী উদ্ধার

প্রকাশিত: ১:২২ অপরাহ্ণ, মে ৯, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : লক্ষীপুররের কমলনগর থেকে নিখোঁজ হওয়া ৪ কিশোরীকে ৩৪ ঘন্টা পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ (রবিবার) সন্ধ্যায় লক্ষীপুর জেলা কারাগার সংলগ্ন জনৈক রহমান কন্টেকটারের বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। রাত ৯টার দিকে লক্ষীপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে এ তথ্য জানান, জেলা পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান।

এসময় সাংবাদিকদের পুলিশ সুপার জানান, শনিবার দুপুরে নিখোঁজ কিশোরিদের ঝুমুর এলাকায় কান্না করতে দেখে ফারুক নামের এক সিএনজি চালক। এক পর্যায়ে ফারুক ওই কিশোরীদের তার পরিচিত পুলিশের নায়েক নুরুল ইসলামের জেলা কারাগার সংলগ্ন বাসায় নিয়ে যায়। নায়েক নুরুল ইসলামের স্ত্রী তার নিকট আত্মীয় রহমানের বাসায় ওই কিশোরীদেরকে রাখে। পরে ওই সিএনজি চালকের মাধ্যমে কমলনগর এলাকায় তার পরিবারের সদস্যদের খোঁজ নিতে থাকে। নায়েক নুরুল ইসলাম ৪কিশোরী নিখোঁজের খবর কমলনগর থানা অফিসার ইনর্চাজকে অবহিত করলে সে অনুযায়ী তাদেরকে উদ্ধার করা হয় বলে জানান, পুলিশ সুপার।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান, কিশোরীরা তাদের পরিবারের ঠিকানা দিতে রাজি হয়নি । অভাব অনটন ও কাজের সন্ধানে বাড়ি থেকে বের হয় চার কিশোরী। তারা কাজ করে পরিবারের আর্থিক অভাব অনটন দূর করতে বাবা-মার অগোচরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তারা বাসা বাড়িতে কাজ করে পরিবারকে সাহায্য করতে চেয়েছিল। কারো প্ররাচনায় তারা বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়নি । প্রেসব্রিফিং শেষে কিশোরীদের তাদের পরিবারের কাছে হস্থান্তর করা হয়।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন) পলাশ কান্তি নাথ,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিমতানুর রহমান,ডিএসবির ওসি একেএম আজিজুর রহমান মিয়া ও কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোলায়মান হোসেন সহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপস্থিত ছিলেন। শনিবার সকাল ৮টার দিকে কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের চরবসু এলাকার বাড়ি থেকে চার কিশোরী বের হয়। নিখোঁজ কিশোরী সামিয়া আক্তার নিহার শান্তিরহাট এলাকায় নানার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য বের হয় । কিন্তু শনিবার রাত পর্যন্ত সেখানে তারা পৌঁছায়নি। এর আগে নিখোঁজ হন চার কিশোরী। পরে আত্নীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করে তাদের সন্ধান না পেয়ে রাতেই থানায় সাধারন ডায়েরী করেন নিখোঁজ কিশোরী নিহার নানী আকলিমা বেগম।

নিখোঁজ কিশোরীরা হচ্ছে উপজেলার চরকাদিরার বাদামদতলী এলাকার মো. ইব্রাহিম হোসেনের মেয়ে জোবায়েদা আক্তার,জয়নাল আবেদিনের মেয়ে মিতু আক্তার, সামছুল আলমের মেয়ে সামিয়া আক্তার নিহা ও আবুল খায়ের চন্নুর মেয়ে সিমু আক্তার। তাদের ৪জনেরই বয়স ১২ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। তারা সম্পকে খালাতো বোন ও প্রতিবেশি জেঠাতো ও চাচাতো বোন।

এর মধ্যে সামিয়া আক্তার নিহা স্থানীয় দক্ষিন চরকাদিরা সিদ্দিকীয় দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ট শ্রেনীর শিক্ষার্থী। এছাড়া জোবায়েদা আক্তার,মিতু আক্তার একই এলাকার দক্ষিন চরকাদিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী।