নালিতাবাড়ীতে শ্রমিক সংকটে দুশ্চিন্তায় কৃষক

প্রকাশিত: ৬:১৫ অপরাহ্ণ, মে ৭, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে কৃষি শ্রমিক সংকটের কারণে অসহায় হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। ভরা বোরো মৌসুমে পাকা ধান মাঠে রেখে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। প্রকৃতি নির্ভর এই আবাদে সময়মতো ধান ঘরে তুলতে না পারলে যেকোনো সময় শীলা বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যেতে পারে কৃষকের সোনার ফসল।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে ২২ হাজার ৭৫৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলাজুড়ে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হয়েছে। ফলন ভালো হলেও ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। এখন শ্রমিক সংকটের কারণে প্রতি একর জমির ধান কাটতে ১৪/১৫ হাজার টাকা নিচ্ছেন শ্রমিকরা। অথচ প্রতিমণ ধানের বর্তমান বাজার দাম ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। বর্তমান বজার দর ও অধিক শ্রমিক মজুরিতে ধানের উৎপাদন খরচ বেশি পড়ছে বলে জানান কৃষকরা।

উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের কৃষক আবু সাইদ বলেন, ধানের বাজারের সঙ্গে মিল রেখে শ্রমিকের মজুরি নির্ধারণ করে জরুরিভিত্তিতে উপজেলা জুড়ে মাইকিং করার ব্যবস্থা করলে কৃষক উপকৃত হবেন।

আন্ধারুপাড়া গ্রামের কৃষক হাবিল উদ্দিন বলেন, শ্রমিকরা তাদের মনমতো অতিরিক্ত দামে ধান কাটছে। এতে আমরা শ্রমিকদের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছি। কর্তৃপক্ষ জরুরীভিত্তিতে ধান কাটা বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

কৃষি শ্রমিক আবদুল করিম বলেন, বর্তমানে সব জিনিসের বাজার দর বেশি হওয়ায় কম দামে ধান কাটলে আমাদের পোষায় না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর কবির বলেন, শ্রমিক সংকট মোকাবেলায় কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে সরকার শতকরা ৫০ ভাগ ভর্তুকি দিয়ে মাড়াই যন্ত্র বিতরণ করছে। এই সুবিধা দেওয়ার পরও কৃষকরা এসব যন্ত্র নিচ্ছেন না। শ্রমিক সংকট মোকাবেলায় ১৫টি কম্বাইন্ড হার্ভেষ্টার মেশিন দেওয়া হয়েছে। রোববার থেকে প্রতি ইউনিয়নে মেশিনের সাহায্যে ধান কাটা শুরু করা হবে। আর কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।