​​​​​​​গলাচিপায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে ব্যবসায়ী খুন, গ্রেফতার ৩

প্রকাশিত: ৩:৩৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : পটুয়াখালীর গলাচিপায় মুদিমনোহরি দোকানের বকেয়া পাওনা তিন হাজার টাকা চাওয়ায় দেনাদার ক্ষিপ্ত হয়ে দলবলসহ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ইসমাইল হাওলাদার (৬৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে খুন করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের মাটিভাঙ্গা বাজারে।

নিহত ব্যবসায়ী ওই ইউনিয়নের পশ্চিম কাচারিকান্দা গ্রামের সেকান্দার হাওলাদারের ছেলে। হামলাকারী হলেন একই উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষ্ণপুর গ্রামের হালিম মোল্লার ছেলে রফিক মোল্লা (৫০)। সংবাদ পেয়ে গলাচিপা থানার ওসি সঙ্গীয় ফোর্সসহ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যান।

ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন ডাকুয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাম হাওলাদারের ছেলে বাহাউদ্দিন (৪০), আলী আশ্রাফ হাওলাদারের ছেলে নূর মোহাম্মদ (৩৫) ও মোকছেদ মোল্লার ছেলে হৃদয় মোল্লা (২৫)। এ ঘটনায় নিহতের মেজ ছেলে রাকিব হাসান (২৫) বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে গলাচিপা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম।

মামলার বাদী রাকিব হাসান জানান, তার বাবা ইসমাইল হাওলাদারের মুদিমনোহরি দোকান থেকে গত চার মাস আগে পার্শ্ববর্তী ডাকুয়া ইউনিয়নের হালিম মোল্লার ছেলে রফিক মোল্লা তিন হাজার টাকার পণ্য বাকিতে নেয়। শুক্রবার সকালে রফিক মোল্লা মাটিভাঙ্গা বাজারে আসলে ইসমাইল হাওলাদার তার দোকানের বকেয়া পাওনা টাকা চাইলে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এরই জের ধরে রাত সোয়া ৮টার দিকে রফিক মোল্লা তার দলবল নিয়ে ইসমাইলের দোকানে এসে ছেলে রাকিবকে মারধর করে। এসময় ইসমাইল হাওলাদার বাধা দিলে তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতব আহত করে ও তিনটি দোকান ভাংচুর করে। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত ইসমাইলকে উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনার সাথে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালীর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। শনিবার আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।