বছরের পর বছর ঝুঁকি নিয়েই বাঁশের সাঁকো পারাপার

প্রকাশিত: ৮:২৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১০, ২০২০

নিউজ ডেস্কঃ পাবনার চাটমোহর উপজেলার চলনবিল অধ্যুষিত অবহেলিত জনপদ প্রত্যন্ত অঞ্চল হান্ডিয়াল ইউনিয়ন। ইতোপূর্বে পাবনা-৩ এলাকার সাবেক সাংসদ (১৯৯৬-২০০১) ওয়াজি উদ্দিন খান মহান জাতীয় সংসদে বলেছিলেন ‘মাননীয় স্পিকার চাঁদে যাওয়া সম্ভব, কিন্তু আমার হান্ডিয়ালে যাওয়া সম্ভব নয়’ সেই হান্ডিয়ালে যাবার জন্য নানা ফাইল চালাচালি করে চাটমোহর-হান্ডিয়াল-মান্নাননগর রাস্তার কাজ পাশ করাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন তিনি।তার বদৌলতে ২০১৮ সালে নির্মাণ শেষে চালু হয় চাটমোহর-মান্নাননগর সড়ক। সড়কটির নামকরণও করা হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক এমপি ওয়াজি উদ্দিন খানের নামে।হান্ডিয়ালের অবহেলিত গ্রাম বড় বেলাই, হাসুপুর, কেশবপুর, ঘোষ বেলাই, দাস বেলাই ৫/৬ টি গ্রামের প্রায় ৭/৮ হাজার মানুষ প্রতিদিন পারাপার হয় বড়বেলাই কাটাখালী লাওদারা বাঁশের সাঁকো দিয়ে। সাইকেল, ভ্যানও চলাচল করে ওই সাঁকোর উপর দিয়ে।

উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নে রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ কালভার্ট নির্মিত হলেও সরকারি কোনো দপ্তরে উন্নয়নে নাম নেই হান্ডিয়াল কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বড়বেলাই-সুলতানপুর রাস্তা।বড় বেলাই গ্রামের মেছের আলী জানান, আমার বয়স এখন ৭৫ বছর। ‘ছোট বেলা থেকেই লাওদারা জোলা গামছা পড়ে পার হয়ছি। তারপর বাঁশের সাঁকো। ভোটের সময় ব্রিজ আর রাস্তা কর্যে দিব্যার কথা কয়্যা ভোট লিছে, কিন্তু ওই পরযন্তই’।স্কুলছাত্রী নাদিরা জানায়, বর্ষার সময় পানি বেশী থাকলি ভোট নৌকায় পার হই। আর খরার সময় সাঁকো তে। মাঝে মাঝে ভয়ও করে। অনেক ছোট-ছোট ছেলে মেয়েরা স্কুলে যায়।চাটমোহর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইসহাক আলী মানিক জানান, ৮০ সালে চাটমোহরে আসার আগ পর্যন্ত যেমন দেখেছি এখনও সেই রকমই দেখছি লাওদারা জোলা আর রাস্তা।উপজেলার অনেক জায়গা উন্নয়নে বদলে গেলেও বড় বেলাই গ্রামের লাওদারা জোলার উপর ব্রিজ হয়নি এমনই ওই সাঁকোর উপর দিয়ে পার হয়ে যে রাস্তায় উঠতে হয় সে রাস্তাও পাকা হয়নি। আমার নিজস্ব এলাকা হিসেবে নয় হান্ডিয়াল ইউনিয়নের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবেও আমি চাই দ্রুত লাওদারা জোলার উপর একটি ব্রীজ নির্মাণ এবং বড়বেলাই-সুলতানপুর রাস্তাটি পাকাকরণ করা হোক।