নালিতাবাড়ীতে বন্যহাতির মহড়া, আতঙ্কে স্থানীয়রা

প্রকাশিত: ৯:৩৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৪, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ি এলাকায় বন্যহাতির মহড়া চলছেই। কিছুতেই দমানো যাচ্ছে না হাতির দলটিকে। এতে স্থানীয়দের মাঝে দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে খাবারের সন্ধানে গহীন পাহাড় থেকে নেমে আসে উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের পানিহাটা পাহাড়ি এলাকায়।

জানা গেছে, উপজেলার সীমান্তবর্তী পানিহাটা এলাকার পাহাড়ে প্রায় ৪০/৫০টি বন্যহাতি দলবেঁধে পাহাড়ে অবস্থান করছে। তারা যে কোন সময় লোকালয়ে তাণ্ডব চালাতে পারে। তাই পাহাড়ি এলাকার মানুষ বন্যহাতির তাণ্ডব থেকে বাঁচতে চিৎকার হৈ-হুল্লোড় করে রাত কাটাচ্ছে। নালিতাবাড়ীর গারো পাহাড়ে সামাজিক বনায়ন করায় পর্যাপ্ত খাদ্য না পেয়ে ক্ষুধার্ত হাতির দল যখন তেড়ে আসে তখন সাধারণ মানুষ পিছিয়ে যায়। এরা মাঝে মধ্যেই পাহাড়ি এলাকায় মহড়া দিচ্ছে।

পানিহাটা এলাকার আব্দুর রশিদ নামে এক কৃষক বলেন, এই বন্যহাতির পালের জন্য একমুঠো ধানও গোলায় তুলবার পারছি না, হাতিরপাল ফসলের মাঠ শূন্য করে দিছে। এহন আইছে সরিষা ও বোরো ধানের বীজতলা খাইতে। হাতির হাত থাইকা ফসল ও জান বাঁচাইতে আমরা দল বেঁধে হাতি তাড়াতে পাহারায় থাকি।

সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকার বিজার কুবি, আশালতা নেংমিনজা, ডেবিট নকরেক ও হাসমত আলিসহ কয়েক জন কৃষক জানান, পাহাড়ি বন্যহাতির জন্য কোনো বছর ঠিক মতো ফসল তুলতে পারি না। খাদ্যের সন্ধানে হাতিগুলো ফসলের ক্ষেতে ও লোকালয়ে এসে ছোটাছুটি করে খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে ক্ষেতের ফসল নষ্ট করে দেয়। আমরা বন্যহাতির অত্যাচারে অতিষ্ট। বন্যহাতির তাণ্ডব আমাদের নির্ঘুম রাত কাটে।

ওই এলাকার এলিফেন্ট রেসপন্স টিমের সভাপতি যোসেফ মারাক বলেন, হাতিগুলো পাহাড় থেকে দলবেঁধে লোকালয়ে নেমে আসলে রাত জেগে পাহারা দিয়েও জানমাল রক্ষা করা সম্ভব হয় না। এ বিষয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

এ ব্যাপারে শেরপুর বন বিভাগের বন্যপ্রাণি ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার জানান, বন্যহাতির আক্রমণ থেকে জানমাল বাঁচাতে আমরা সচেতন আছি। নিয়মিত টহল ও জন সচেতনতামুলক আলোচনাসভা করা হচ্ছে। হাতি প্রবণ এলাকায় বসবাসরত জনসাধারণকে হাতির আক্রমণ ঠেকাতে বন্যহাতির দলকে উত্ত্যক্ত না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।