ত্রিপুরার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ম্যালেরিয়ার থাবা

প্রকাশিত: ৫:১৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাস ও ডেঙ্গুর মধ্যেই এবার ত্রিপুরা রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে থাবা বসিয়েছে ম্যালেরিয়া। আর এসব অঞ্চলে স্বাস্থ্য কেন্দ্র থাকলেও সেবার অভাবে বিপাকে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। কাছাকাছি স্বাস্থ্য কেন্দ্র না থাকায় এসব অঞ্চলে বসবাসরতদের চিকিৎসার জন্য দূরদূরান্ত থেকে ছুটতে হচ্ছে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে। রাজ্যের এমন পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্নও ওঠছে।

দু’দিন আগে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় ত্রিপুরা রাজ্যের (ভারতের) প্রত্যন্ত অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত তেলিয়ামুড়া মহকুমার নুনাছড়া এডিসি ভিলেজে। মুঙ্গিয়াকামি আর ডি ব্লকের অধীনে থাকা এ নুনাছড়া এডিসি ভিলেজের বেশ কয়েকজন এরই মধ্যে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।তাদের মধ্যে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে তিন নারীর চিকিৎসা চলছে বলে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

আশ্চর্যের বিষয় হলো, প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে ছোটখাটো স্বাস্থ্য কেন্দ্র খোলা হলেও উপযুক্ত সেবার অভাবে চিকিৎসার সুবিধা নিতে পারছেন না এ অঞ্চলের জনগণ। জানা গেছে, এখন পর্যন্ত বিনাচিকিৎসায় এ গ্রামে বেশ কয়েকজন ঘরবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাবে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন পাহাড়ি অংশের জনগণ। বিশেষ করে কর্ণরাম, গদাইমং কুরুই, প্রজা বাহাদুর মলমুম, দত্ত মলমুমসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘরে ঘরেই জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দেগে। জ্বরে আক্রান্ত অনেকেই ম্যালেরিয়ার রোগী হবেন বলে ধারণা হচ্ছে।

জানা গেছে, একই ভিলেজের প্রজা বাহাদুর মলসমপাড়ার তিন নারী দীর্ঘদিন জ্বরে ভুগছিলেন। পরে স্বজনরা তাদের তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে রক্তের নমুনা পরীক্ষায় তিনজনের শরীরেই ম্যালেরিয়ার জীবাণু পাওয়া গেছে। বর্তমানে তিনজনই তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলেও চিকিৎসকদের দেখা পাওয়া মুশকিল। ফলে সামান্য রোগে আক্রান্ত হলেও বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হয় রোগীদের।

স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনার পর এরই মধ্যে স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে জনজাতি ওই এলাকায় উপযুক্ত স্বাস্থ্য পরিসেবা দেওয়ার লক্ষ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে।