পঞ্চগড়ে শিক্ষার্থীকে ভর্তি ফরম দিলেন না প্রধান শিক্ষক

প্রকাশিত: ৯:০১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৯, ২০২০

এন এ রবিউল হাসান লিটন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান দ্বিমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কামেলী আক্তার নামের এক শিক্ষার্থীকে ভর্তি ফরম দিলেন না ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু জাফর। কামেলী আক্তার তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের যোগীগছ এলাকার আব্দুল করিম বেন্টু মেয়ে। বাবার সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারনে মেয়েকে ভর্তি ফরম দেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

কামেলী আক্তারের বাবা আব্দুল করিম বেন্টু পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তিনি ২০১০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত শালবাহান দ্বিমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। ২০১৮ সালের কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু জাফরের সঙ্গে বেন্টুর দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এমনকি বেন্টু ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলাও করেন। মামলাটি এখনো আদালতে চলমান রয়েছে। এরপর তাদের দ্বন্দ্ব আরও চরমে উঠে।

গত বছরের ১৩ নভেম্বর শালবাহান দ্বিমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নতুন ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে ১৫ নভেম্বর ভর্তি ফরম নিতে যান আব্দুল করিম বেন্টু। কিন্তু দ্বন্দ্ব থাকায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু জাফর তাকে ভর্তি ফরম না দিয়ে ফিরিয়ে দেন। বিভিন্ন মাধ্যমে অনুরোধ জানালেও কোন কাজ হয়নি। এমনকি গত ২৯ নভেম্বর বেন্টু তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করলেও কোন কাজ হয়নি।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে আব্দুল করিম বেন্টুর মেয়ে কামেলী মুনিগছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিইসি পাস করে। ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর শালবাহান দ্বিমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয় কামেলী। ভর্তি পরীক্ষায় কৌশলে তার নাম অকৃতকার্যদের তালিকায় প্রকাশ করা হয় বলে অভিযোগ করেন কামেলীর পরিবার। পরে কয়েক দফায় তাকে ভর্তি করার জন্য অনুরোধ করলেও ভর্তি নেননি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু জাফর।

ভর্তি আদেশের জন্য আদালতে একটি মামলাও করেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা আব্দুল করিম বেন্টু। কিন্তু আদালতে মামলার দীর্ঘ সূত্রিতার জন্য তিনি ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর মামলাটি তুলে নিতে বাধ্য হন তিনি। তবে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তার দায়ের করা মামলাটি এখনও চলমান রয়েছে।

তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রফিকুল আলম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আমি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।