হালুয়াঘাটে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে আকস্মিক বন্যায় কয়েক হাজার মানুষ গৃহবন্ধী

প্রকাশিত: ৮:৪৩ অপরাহ্ণ, জুন ৩০, ২০২১

জোটন চন্দ্র ঘোষ ,হালুয়াঘাট : ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে আকস্মিক বন্যায় কয়েক হাজার মানুষ গৃহবন্ধী হয়ে পড়েছেন। টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হালুয়াঘাট উপজেলার পৌরশহরসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে।

এতে হালুয়াঘাট উপজেলার ভুবনকুড়া, জুগলী ,গাজিরভিটা, হালুয়াঘাট সদর, নড়াইল, বিলডোরা, ধারা, ধুরাইল, শাকুয়াই ইউনিয়নসহ ১২টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বন্যার পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে। বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে উপজেলার প্রায় তিন লক্ষাধিক মানুষ। ফলে শত শত পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। শতাধিক হেক্টর আমনের বীজতলা তলিয়ে গেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় কয়েক হাজার পরিবার।
দৈনিক সময় সংবাদ

সরেজমিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালুয়াঘাট উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে উপজেলার প্রায় তিন লক্ষাধিক মানুষ। টানা কয়েক দিনের অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সৃষ্টি হওয়া আকস্মিক বন্যায় গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলের জনসাধারণসহ পৌরবাসী। পাশাপাশি উপজেলা খাদ্যগুদামের ৭ নং গুদামে পানি প্রবেশ করেছে। উক্ত গুদামে প্রায় ৮ হাজার বস্তা ধান রয়েছে বলে জানান গুদামের এলএসএসডি আরিফুর রহমান। প্রবল বর্ষনে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। হুমকির মুখে রয়েছে দর্শা নদী পাড়ের বেশ কয়েকটি বাড়ি। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে প্রায় কয়েকশত পুকুরের মাছ।

বন্যাদুর্গত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন, হালুয়াঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহামুদুল হক সায়েম, পৌরমেয়র খায়রুল আলম ভূঞা, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ।
দৈনিক সময় সংবাদ
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম জানান, আমি বন্যাদুর্গত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি, প্রবল বর্ষনে ও পাহাড়ি ঢলে আকস্মিক বন্য পরিস্থিতির বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন। পানিবন্দি লোকদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে, পানি শুকিয়ে গেলে যেসব স্থানে ভাঙনের দেখা দিবে সেগুলো সংস্কার করা হবে। বন্যাদুর্গত জনসাধারণের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।