যুদ্ধের বিশাল প্রস্তুতি ইরানের, আতঙ্কে যুক্তরাষ্ট্র! দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম প্রকাশিত: ৭:০৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৯, ২০২০ আন্তজৃাতিক ডেস্কঃ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ক্ষমতাধর ব্যক্তি ও ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের শাখা কুদস ফোর্সের প্রধান কাশেম সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে বুধবার ইরাকে অবস্থিত দু’টি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তেহরান।এবার ইরানের ড্রোন হামলা আতঙ্কে ভুগছে যুক্তরাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে মার্কিন সামরিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালানোর লক্ষ্যে বিশাল প্রস্তুতি নিচ্ছে তেহরান। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন সামরিক স্থাপনাগুলোতে ড্রোন হামলার লক্ষ্যে সামরিক সাজ-সরঞ্জাম মোতায়েন করছে তেহরান। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্ভাব্য ড্রোন হামলা প্রতিরোধে সেনাদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলেছে। একইসঙ্গে সতর্ক রাখা হয়েছে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও যুদ্ধবিমানগুলোও। ইরানি কোনো ড্রোন দেখলেই গুলি করে ভূপাতিত করার নির্দেশও দেয়া হয়েছে সেনাদের।এদিকে, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে কোনো প্রকার যুদ্ধে যেতে চায় না। তবে যুদ্ধ শুরু হলে তা শেষ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মঙ্গলবার এ কথা জানান তিনি।উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে গত ৩ জানুয়ারি ভোরে বাগদাদ বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের প্রভাবশালী জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়। চার্টার উড়োজাহাজে চেপে তিনি এসব সফর করতেন। গেলো বৃহস্পতিবারের সফরটিও তাঁর এমন একটি সফর ছিল। গিয়েছিলেন বিশ্বের অন্যতম সুরক্ষিত বিমানবন্দরগুলোর একটিতে। এড়িয়েছিলেন সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতাও। কিন্তু এড়াতে পারলেন না মৃত্যু।সোলাইমানিকে নিয়ে তাঁর উড়োজাহাজটি বাগদাদের বিমানবন্দরে অবতরণ করে গত শুক্রবার ভোরে। সেখানে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল দুটি গাড়ি। বিমানবন্দরে রানওয়েতে ছিল পরিচিত মুখ, সোলাইমানির পুরোনো সহযোগী আবু মাহদি আল-মুহানদিস। তাঁদের দুজনেরই যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ প্রয়োগের ইচ্ছা থাকলেও সে উদ্দেশে নয়, বরং তাঁরা জরুরি ইস্যুতে আলোচনায় বসতে যাচ্ছিলেন।হামলার দিন, বিমানবন্দরে নেমে মুহানদিসের গাড়িতে ওঠেন জেনারেল সোলাইমানি। পেছনে থাকা দ্বিতীয় গাড়িটিতে ছিল তাঁদের দেহরক্ষীরা। রানওয়ে অতিক্রম করে সড়কে উঠছিল সোলাইমানিকে বহনকারী গাড়িটি।এদিকে তাঁদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছিল মার্কিন এমকিউ ড্রোন, সে তথ্য সঙ্গে সঙ্গে চলে যাচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন ও মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) কাছে।সোলাইমানির গাড়িটি বিমানবন্দরে নিরাপত্তাবেষ্টনী পেরিয়ে পেছনের গাড়িটি থেকে কিছুটা দূরে যাওয়া মাত্র ড্রোন থেকে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। এতে সোলাইমানিকে বহনকারী গাড়িটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়, আগুন ধরে যায় এতে। এরপরই ছোড়া হয় তৃতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটি। এর আঘাতে নিরাপত্তা প্রহরীদের গাড়িটিও ধ্বংস হয়। Share this:FacebookX Related posts: প্রতিশোধ না নিতে ইরানকে যেসব প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বিমান দুর্ঘটনায় গ্রেপ্তার ইরানের মিসাইল অপারেটর করোনাভাইরাসের প্রথম প্রতিষেধক পেল যুক্তরাষ্ট্র! করোনাভাইরাসে ইরানের সাবেক রাষ্ট্রদূতের মৃত্যু ইরানের ২৩ এমপি করোনায় আক্রান্ত করোনা আতঙ্কে কলাম্বিয়ার কারাগারে দাঙ্গায় নিহত ২৩, চিলিতে সান্ধ্য আইন করোনাভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে চীন ও ইতালিকে ছাড়ালো যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় অর্থায়ন বন্ধ করছে যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে ৫৭ কর্মকর্তার পদত্যাগ জাতিসংঘের ভাষণে ইরানের কড়া সমালোচনা সৌদি বাদশাহর রাশিয়া-চীনের সঙ্গে অস্ত্র চুক্তি ইরানের তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র, ২১ জনের মৃত্যু SHARES Matched Content আন্তর্জাতিক বিষয়: আতঙ্কেইরানেরযুক্তরাষ্ট্রযুদ্ধের বিশাল প্রস্তুতি