‘আমরা নির্বাচনি কালচার গড়ে তুলতে পারিনি’

প্রকাশিত: ৬:৪২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৯, ২০২০

নিউজ ডেস্কঃ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, আমরা নির্বাচনি কালচার গড়ে তুলতে পারিনি। ’৪৭-এর পর থেকে এভাবেই চলে আসছে। তাই ইভিএমএ ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইভিএমে ভোট হলে ভোটারদের মধ্যে ভীতি থাকবে না। একজনের ভোট অন্যজনে দিতে পারবে না।গতকাল বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সিইসি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, অভিযোগ থাকবে, তবে অভিযোগের ভিত্তি থাকতে হবে। নির্বাচনে অনেক ধরনের সমস্যাই হয়।এর আগের অনেক নির্বাচনে দেখা গেছে, সন্ধ্যায় ভোট গণনায় দেখা গেল একজন নির্বাচিত হয়েছে, মধ্যরাতে আরেক জনের নাম ঘোষণা করা হলো, সকালে উঠে জানা গেছে নির্বাচিত হয়েছে আরেকজন।ইভিএমে প্রিসাইডিং অফিসার নিজে ২৫ শতাংশ ভোট দিতে পারেন- ভোটারদের মাঝে এমন একটা ধারণা প্রচলিত থাকার বিষয়টি নিয়ে সিইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জবাবে তিনি বলেন, ২৫ পার্সন্টের বিষয়টি চাঁদে সাইদীকে দেখা যাওয়ার মতো করে ছড়িয়ে গেছে। এ কথার কোনো ভিত্তি নেই।

যারা এ কথা বলেন, তারা দেখাক নির্বাচনি আইনের কোথায় এ বিষয়ে উল্লেখ আছে। ইভিএমে ভোট চুরির সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন কোনো প্রযুক্তি শুরু হলে কিছুটা বিতর্ক থাকে, কিন্তু আমার মনে হয়, কয়েকটি নির্বাচনের পরে সব মানুষের মধ্যে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে এবং সন্দেহ কেটে যাবে।ইভিএমে ভোট চুরির কোনো সুযোগ নেই। ব্যালট বক্স ছিনতাইয়েরও সুযোগ নেই। একজনের ভোট অন্যজনে দিতে পারবে না। একজন আরেকটি ভোট দেয়ারও সুযোগ পাবেন না।তিনি বলেন, একজন ভোটার তারা স্মার্টকার্ড, জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা ভোটার নম্বর ব্যবহার করে ভোট দিতে পারবেন। এমনকি আঙলের ছাপ দিয়েও ভোট দেয়া যাবে।ইভিএমে ভোট তাই আইনশৃঙ্খলা বাহীনির সংখ্যা কমানো হবে কি-না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমরা এর আগে বলেছিলাম, যেহেতু ইভিএমে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের মতো কোনো সুযোগ নেই, তাই ভোটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি কমানো হবে।

পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংখ্যা যৌক্তিকভাবে রাখা হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মূলত দুইভাবে থাকবে। কিছু কেন্দ্রে থাকবেন, বাকিরা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবেন।চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন সুষ্ঠু হবে দাবি করে সিইসি বলেন, অবশ্যই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সে লক্ষ্যেই এখানে ইভিএমে ভোট নেয়া হচ্ছে। আমি গতকাল বোয়ালখালী গিয়েছিলাম। আসার পথে দেখলাম প্রার্থীদের পোস্টার পাশাপাশি লাগানো।এখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানলাম নির্বাচনি পরিবেশ ভালো রয়েছে। প্রার্থীদের মাঝে কোনো গ্রুপিং সৃষ্টি হয়নি। মনোমালিন্যের ঘটনাও ঘটেনি। যারা প্রার্থী তাদের মধ্যে ভালো আন্ডারস্ট্যান্ডিং রয়েছে। নিজেরা কোনো রকম সহিংসতায় যাবেন না। নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য তারা দুজনই আন্তরিক।তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার, সিএমপি কমিশনার, জেলা প্রশাসক, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থাসহ (এনএসআই) সব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। এখানে তারা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে কোনো মনোমালিন্য দেখেননি।এলাকার মানুষের সঙ্গেও কথা বলেছি। তারা সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আশাবাদী। এখন পর্যন্ত আচরণবিধি লঙ্ঘনের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। কিছু অভিযোগ আছে, সেগুলো তদন্তাধীন। নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হবে।