‘সারাদেশে মোটরচালিত রিকশা-ভ্যান চলবে না’

প্রকাশিত: ৭:২৪ অপরাহ্ণ, জুন ২০, ২০২১
‘সারাদেশে মোটরচালিত রিকশা-ভ্যান চলবে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক : সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসকল ব্যাটারি বা মোটর চালিত রিকশা ও ভ্যান চলছে তা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি পরিবহন শ্রমিকদের নিয়োগপত্র দিতে মালিকদের প্রতি নির্দেশনাও দিয়েছে সড়ক পরিবহন টাস্কফোর্স।

রোববার (২০ জুন) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা নির্ধারিত স্থান বা টার্মিনাল ছাড়া কোনো পরিবহন থেকে রাজস্ব বা ফি আদায় করা যাবে না।

প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে গিয়ে আমরা দেখেছি সারাদেশে রিকশায় মোটর লাগিয়ে চলছে। সেগুলোর সামনে ব্রেক থাকলেও পেছনে ব্রেক নেই। যখন ব্রেক করে তখন যাত্রীসহ সবাই উল্টে পরে দুর্ঘটনা ঘটে। এখন থেকে সারাদেশে এই ধরনের রিকশা চলতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্দেশনা দেবে।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা হয়। চালক দুর্ঘটনার শিকার হয় আবার অন্যের দুর্ঘটনার কারণও হয় এই মোটরসাইকেল। সেজন্য দুইজনের বেশি মোটরসাইকেলে উঠতে পারবেন না। পাশাপাশি নিবন্ধন ছাড়া কোনো মোটরসাইকেল সড়কে চলতে দেওয়া হবে না।

এছাড়া পরিবহন চালক শ্রমিকদের কিভাবে নিয়োগপত্র দেওয়া যায়। সেটা মালিক শ্রমিকরা বসে ঠিক করবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, সড়ক আইনে সুস্পষ্ট বলা আছে, চালক-শ্রমিকদের নিয়োগপত্র দিতে হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সড়কে গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে। তবে দুর্ঘটনা খুব বেড়েছে বলা যাবে না। দুর্ঘটনা হচ্ছে। তা কমাতেই কারিগরি বিশেষজ্ঞ কমিটি প্রতিবেদন দেবে। অনেকগুলো কারণ চিহ্নিত করেছি। সেসব নিয়েই আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ১১১টি সুপারিশ এসেছিল টাস্কফোর্সে। এরমধ্যে আমরা কিছু বাস্তবায়ন করেছি, কিছু বাস্তবায়নাধীন আর কিছু কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সে বিষয়ে চার মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। চার মন্ত্রণালয় থেকে একজন করে ফোকাল পয়েন্ট থাকবেন। তারা একটি কর্মপদ্ধতি বের করে পরে বৈঠকের তা উপস্থাপন করবেন।

এছাড়া কারিগরি বিশেষজ্ঞ কমিটি দেশের সড়ক পর্যবেক্ষণ করবেন। তারা পুলিশের সহযোগিতায় দেখবেন কোন সড়কে বেশি দুর্ঘটনা হচ্ছে। কেন হচ্ছে। ওই সড়কে কত সংখ্যক গাড়ি চলাচল করা উচিত। এসব পর্যবেক্ষণ করার পর টাস্কফোর্সকে প্রতিবেদন দেবেন।