ফের রাবি উপাচার্য অবরুদ্ধ

প্রকাশিত: ১১:৩৯ অপরাহ্ণ, মে ৩১, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : কর্মস্থলে যোগদান করানোর দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব), উপ-উপাচার্যসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিদের অবরুদ্ধ করেছে এডহকে অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্তরা। যোগদানের দাবিতে আন্দোলনরত অধিকাংশই সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

এর আগে সোমবার সকাল থেকে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় অবৈধ্য নিয়োগপ্রাপ্তরা। বেলা ১১টার দিকে উপাচার্য সম্মেলন কক্ষে প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিসহ ডিনদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সোয়া ১১টার দিকে নিয়োগপ্রাপ্তরা সম্মেলন কক্ষে প্রবেশ করে কর্মস্থলে পদায়নের দাবি জানান তারা। এ সময় ডিনরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্তদের উচ্চবাক্য বিনিময় হয়। পরে ছাত্রলীগ নেতারা যোগদান করতে না দিলে যাবেন না বলে অবস্থান নিলে রাবি প্রশাসন জরুরি সভায় বসেন।

সভা শেষে ফের চাকরি পাওয়া নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে প্রশাসন। আলোচনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা ও নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করার বিষয়টি তাদের জানানো হয়। এ সময় সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে যোগদানের অনুমিত দেওয়া সম্ভব নয় জানালে চাকরি পাওয়া নেতারা ফের উপাচার্যসহ প্রশাসনের সকলকে অবরুদ্ধ করেন।

অবরুদ্ধরা হলেন, ভিসি (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, প্রো-ভিসি অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান আল আরিফ ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান সুমন বলেন, আমরা গত ০৬ মে যোগদান করেছি। ক্যাম্পাস খোলায় আমরা নিজ দফতরে জয়েন করতে এসেছি। কিন্তু রুটিন দায়িত্বে থাকা উপাচার্য নিয়ম বহির্ভূত ভাবে যোগদানে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। যদিও তিনি বলছেন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে কিন্তু তারা কোন ডকুমেন্টস দেখাতে পারেননি।

তিনি আরও বলেন, আমরা যোগ দিয়েছি ভ্যালিড কাগজপত্রে। মৌখিক নিষেধাজ্ঞায় যোগদান বন্ধ থাকতে পারে না। তাই আমরা যোগদানের দাবিতে অবরুদ্ধ করেছি তাদের।

জানতে চাইলে রুটিন দায়িত্বে থাকা উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, নিয়োগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা ছিল। তার ওপর মন্ত্রণালয় এটিকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। এই অবস্থায় পদায়ন করা সম্ভব নয়।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্তও বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসনের ওই চার কর্তা ব্যক্তি অবরুদ্ধ ছিলেন।