বাঁচানো গেল না জোড়া পেটের দুই নবজাতককে

প্রকাশিত: ১২:১৩ পূর্বাহ্ণ, মে ২১, ২০২১

অনলাইন ডেস্ক : মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের শিংরাউলী গ্রামের জুয়েল-তাহমিনা দম্পত্তির পেট জোড়া লাগানো জমজ দুই নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনুমানিক রাত ১১টার দিকে তাদের মৃত্যু হয়। জোড়া লাগানো কন্যাশিশু দুটির চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতাও চেয়েছিলেন। কিন্তু তাদের আর বাঁচানো গেল না।

জুয়েল আহমেদ পেশায় একজন পান দোকানদার। শিশু দুটির চিকিৎসার ব্যয় বহনের ক্ষমতা ছিলো না তার। যদিও বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি মহল তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল।কিন্তু শেষমেষ আর বাচাঁনো গেলো না এই জোড়া লাগানো দুই কন্যাশিশুকে।

জোড়া লাগানো জমজ দুই কন্যাশিশুর বাবা জুয়েল আহমদ ডেইলি অবজারভারকে বলেন, ‘জন্মের পর থেকেই আমরা দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলাম। পরে মৌলভীবাজারের জান্নাত প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে আমার বাচ্চা দুটিকে সকলের সহযোগিতায় বাঁচানোর জন্য ঢাকা শিশু হাসপাতালে নিয়ে আসি। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন একটা হার্ট আছে তাদের। অপারেশন করলে বাঁচানো সম্ভব। গতকাল একজন বড় ডাক্তার এসে দেখার কথা ছিল। কিন্তু উনি দেখার আগেই তারা পৃথিবী থেকে চলে গেল।

তিনি আরো বলেন, দুই কন্যাশিশুর দুপুর দুইটা জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

এ ব্যপারে শমশেরনগর ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল আহমেদ ডেইলি অবজারভারকে বলেন, ‘জমজ দুই কন্যাশিশুকে বাচাঁনোর জন্য সরকারি বেসরকারি ও বিভিন্ন মহলের সহযোগিতায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তাদের আর বাচাঁনো গেলো না। আমরা ব্যক্তিগতভাবে একটা ফান্ড তৈরি করেছিলাম শিশু দুটির পরিবারকে সহযোগীতা করার জন্য। কিন্তু তা আর হলো না। সবাইকে কাঁদিয়ে আল্লাহর ডাকে সারা দিয়ে চলে গেলো পরপারে। তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে ফান্ড তৈরি করে যে টাকা তোলা হয়েছে, তা পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হবে ’

উল্লেখ্য, গত ৫ মে মৌলভীবাজার শহরের জান্নাত প্রাইভেট মেডিকেল হাসপাতালে জুয়েল-তাহমিনা দম্পত্তির ঘরে জন্ম নেয় জোড়া লাগানো জমজ দুই কন্যাশিশু।