লাশ উদ্ধারের ১৩ ঘণ্টা পর ঘাতক স্বামী গ্রেফতার

প্রকাশিত: ৯:৩৫ অপরাহ্ণ, মে ১৯, ২০২১
লাশ উদ্ধারের ১৩ ঘণ্টা পর ঘাতক স্বামী গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক : মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে অজ্ঞাত তরুণীর লাশ উদ্ধারের ১৩ ঘন্টা পর ভিকটিমের পরিচয় উদঘাটনসহ হত্যার মূল আসামি ঘাতক স্বামীকে গ্রেফতার করেছে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। এসময় পুলিশের কাছে স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করেছেন স্বামী মো. মসুদ মিয়া (৬২)।

মঙ্গলবার (১৮ মে) রাত ৩টার দিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার রামনগর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।

বুধবার দুপুর ২টার দিকে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানায় পুলিশ।

গ্রেফতার মসুদ মিয়া উপজেলার রামনগর এলকার মৃত এখলাছ মিয়ার ছেলে।

এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখাঁন ইউনিয়ের হুগলিয়া বাজার সংলগ্ন উদনাছড়া ব্রিজের নিচে থেকে অজ্ঞাত তরুণীর লাশ উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। পরে এ ঘটনায় শ্রীমঙ্গল থানার এসআই (নিরস্ত্র) মুহাম্মদ আসাদুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে লাশের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব না হলেও পরবর্তীতে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের প্রচেষ্টা ও অভিযানে এ হত্যার সাথে জড়িত প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি হত্যার দায় স্বীকার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামির একাধিক স্ত্রী আছে এবং বিভিন্ন নারীর সাথে পরকিয়ার সম্পর্ক রয়েছে। প্রায় সময়ই উভয়ের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকত। এ কারণে আসামি তার স্ত্রী ডলি আক্তারকে হত্যা করে। নিহত ডলি আক্তার ঝিনাইদহ জেলার বধনপুর এলাকার মৃত ফেলু মন্ডলের মেয়ে।

মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়ার নির্দেশে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুজ্জামান, শ্রীমঙ্গল থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুছ ছালেক এবং সঙ্গীয় অন্যান্য পুলিশ অফিসারদের সহায়তায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি তদন্ত মো. হুমায়ূন কবির এই হত্যা মামলায় অভিযান পরিচালনা করেন।