পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র মিলবে না ব্যাংক-ডাকঘরে দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম প্রকাশিত: ৮:৫৯ অপরাহ্ণ, মে ১৯, ২০২১ নিজস্ব প্রতিবেদক : এখন থেকে পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র শুধু জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতাধীন সঞ্চয় ব্যুরো থেকে কেনা যাবে। কোন তফসিলি ব্যাংকের শাখা বা ডাকঘর থেকে কেনা যাবে না। মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে। আদেশ জারির দিন থেকেই নতুন এ আদেশ কার্যকর করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সিনিয়র সহকারী সচিব নুসরাত জাহান নিসু স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, সঞ্চয়পত্র বিধিমালা ১৯৭৭ এর বিধি ৫ এর উপবিধি ৫ ও ৬ অনুযায়ী প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগে শৃঙ্খলা আনয়নের লক্ষ্যে উক্ত বিধিমালার বিধি-৩ এ যাই থাকুক না কেন পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ শুধু মাত্র জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘সঞ্চয় ব্যুরো’ কর্তৃক পরিচালিত হবে। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো। ইহা জারির তারিখ থেকে কার্যকর হইবে। জানা গেছে, বুধবার থেকে কোন বিনিয়োগকারী যদি পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কিনতে চান, তাহলে শুধু সঞ্চয় অধিদপ্তরের শাখা অফিসগুলোতে যেতে হবে। বর্তমানে সারাদেশে ৭০টির বেশি এমন সঞ্চয় ব্যুরো আছে। ১৯৭৭ সালে এ সঞ্চয়পত্র প্রবর্তন করে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের বাকি তিনটি সঞ্চয়পত্র- পরিবার সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্র নিয়ম অনুযায়ী আগের মতো ব্যাংক ও ডাকঘর থেকে কেনা যাবে। একজন বিনিয়োগকারী একক নামে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা এবং যুগ্ম নামে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকার পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। সব শ্রেণি ও পেশার বাংলাদেশি নাগরিক এ সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। নাবালকের পক্ষেও এ সঞ্চয়পত্র কেনা যায়। সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষে মুনাফা নিতে চাইলে মুনাফার হার দাঁড়াবে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। তবে মেয়াদপূর্তির আগে নগদায়ন করলে প্রথম বছর শেষে নয় দশমিক ৩৫ শতাংশ, দ্বিতীয় বছর শেষে নয় দশমিক ৮০ শতাংশ, তৃতীয় বছর শেষে ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ, চতুর্থ বছর শেষে ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে মুনাফা পাওয়া যাবে। অন্যদিকে, কোন প্রতিষ্ঠান যদি এ সঞ্চয়পত্র কেনে, তাহলে কতো টাকার সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে, এর কোন সীমা নেই। প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃত ভবিষ্যৎ তহবিলের অনুকূলেও এ সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে। এছাড়া, মৎস্য খামার, হাস-মুরগির খামার, পোলট্রি ফিড উৎপাদন, বীজ উৎপাদন, স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত বীজ বিপণন, গবাদিপশুর খামার, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্যের খামার, ব্যাঙ উৎপাদন খামার, উদ্যান খামার প্রকল্প, রেশম গুটিপোকা পালনের খামার, ছত্রাক উৎপাদন এবং ফল ও লতা পাতার চাষ থেকে উপার্জিত আয় দিয়ে সঞ্চয়পত্রটি কেনা যাবে। Share this:FacebookX Related posts: করোনাভাইরাস : দেশের সব বাণিজ্য মেলা বন্ধ ঘোষণা ৫০-৬০ টাকায় নামল পেঁয়াজের দাম জুন পর্যন্ত কোনো কিস্তি আদায় নয়, তবে ঋণ দেওয়া যাবে জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণে সাড়ে ৪ হাজার বর্গফুট অফিস ফ্লাইট অপারেশন চার্জ মওকুফ চায় এয়ারলাইন্সগুলো সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে রাজধানীর কাঁচাবাজার ও সুপারশপ বন্ধের নির্দেশ সব ধরনের ব্যাংক ঋণের সুদ দুই মাস স্থগিত স্বাস্থ্যবিধি না মানলে দোকান বন্ধ : মালিক সমিতি বাজেট প্রস্তাবে কোন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ কত কোটি টাকা বরাদ্দ পেল রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৪৮ বিলিয়ন ডলার: বাণিজ্যমন্ত্রী ঢাকা চেম্বারের নতুন সভাপতি হলেন রিজওয়ান রাহমান দোকানপাট খোলা থাকবে রাত ৯টা পর্যন্ত SHARES Matched Content অর্থ বাণিজ্য বিষয়: পাঁচ বছর মেয়াদিব্যাংক-ডাকঘরেসঞ্চয়পত্র মিলবে না