কোটি টাকার মালিক সাঈদের নেই কোনো বাড়ি-গাড়ি

প্রকাশিত: ৬:৪৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৮, ২০২০

নিউজ ডেস্কঃ আবারো ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী মমিনুল হক সাঈদ। ক্যাসিনোকান্ডের অন্যতম পুরোধা সাঈদ ২৭ ডিসেম্বর দেশে ফিরেছেন। কাউন্সিলরপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।তবে আওয়ামী লীগের সমর্থন না পেলে স্বতন্ত্র কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবেন বহিষ্কৃত এই সাবেক যুবলীগ নেতা। এমনকি কোনো কারণে তার প্রার্থিতা বাতিল হলে স্ত্রী ফারহানা আহম্মেদ বৈশাখীকে প্রার্থী করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজধানীর মতিঝিল এলাকার সাবেক কাউন্সিলর মমিনুল হক ওরফে সাঈদ।ক্যাসিনো-কারবারে সম্পৃক্ততার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ার অভিযোগ রয়েছে সাঈদের বিরুদ্ধে চলছে দুদকের মামলা।তবে নির্বাচনী হলফনামায় দেয়া তথ্যানুযায়ী, কোটি টাকার মালিক মমিনুল হক সাঈদের বাড়ি ও গাড়ি কিছুই নেই। নেই কোনো জমিজমাও। তার স্ত্রী কাউন্সিলর প্রার্থী ফারহানা আহাম্মেদ বৈশাখির অবস্থা আরও সঙ্গিন। তার বাড়ি ও গাড়িই শুধু নয়, নেই কোনো সম্পদও।

ক্যাসিনো সাঈদ অস্ত্রধারী দেহরক্ষীসহ দামি গাড়ি হাঁকাতেন সামনে-পেছনে গাড়ির বহর নিয়ে। অথচ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে দেয়া হলফনামায় তিনি জানিয়েছেন, তার কোনো গাড়িই নেই, নেই কোনো বাড়ি।এমনকি অ্যাপার্টমেন্ট বা কোনো দোকানপাট পর্যন্ত নেই। রাজধানী ঢাকায় কোনো প্লট বা গ্রামে কৃষিজমি পর্যন্ত নেই। সঞ্চয়পত্র বা কোথাও কোনো শেয়ার নেই। নগদ টাকা আছে কেবল ৭১ হাজার ৮৬১ টাকা।সম্পদের মধ্যে রয়েছে ৬০ তোলা স্বর্ণ, ২ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও এক লাখ টাকার আসবাবপত্র। বৈশাখি এন্টারপ্রাইজ নামে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মূলধন হিসেবে অবশ্য ১ কোটি ৩৭ লাখ ৫২ হাজার ১৮৮ টাকা দেখিয়েছেন তিনি। প্রাইজবন্ড ২ লাখ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা অর্থের পরিমাণ ৩৪ লাখ ৩৪ হাজার ৩৩৭ টাকা।অন্যদিকে সাঈদের স্ত্রী ফারহানা আহম্মেদ বৈশাখির নামেও কোনো বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট বা দোকান নেই। নেই কোনো কৃষি বা অকৃষি জমি। নগদ টাকা রয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার ৭০২। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ১৩ লাখ ৮৯ হাজার ৪৭৫ টাকা।

স্বর্ণ ও মূল্যবান ধাতু রয়েছে ৫০ ভরি। ইলেকট্রনিক সামগ্রী ১ লাখ টাকার, আসবাবপত্র ২ লাখ টাকার এবং প্রাইজবন্ড ২ লাখ টাকার। বুটিক হাউস থেকে তার বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৫২ হাজার ২৫১ টাকা।এর আগে ২০১৫ সালে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে মমিনুল হক হলফনামা জমা দেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, মেসার্স বৈশাখী এন্টারপ্রাইজ নামে তাঁর একটি ঠিকাদারি ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এখান থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ১৮ লাখ ৬৮ হাজার ৯৭৬ টাকা।এর বাইরে তাঁর নগদ টাকার পরিমাণ ৫ লাখ ৫ হাজার ৬৯৭ টাকা, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, আসবাব, প্রাইজবন্ড আছে পাঁচ লাখ টাকার আর মূলধন ১ কোটি ২ লাখ ৯৭ হাজার ৯০১ টাকা। এবারের হলফনামা এখনো পাওয়া যায়নি।