চরফ্যাশনে নদী খনন প্রকল্পের কাজ শুরু

প্রকাশিত: ৭:০৬ অপরাহ্ণ, মে ৮, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার বিচ্ছিন্ন চর মুজিব নগর, কুকরি-মুকরি, নজরুল নগর ও চর কলমী ইউনিয়নে তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙ্গণ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণে ১১১ কিলোমিটার ড্রেজিং প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এর ফলে বেড়িবাঁধের ছিন্নমূল মানুষের মাঝে বইছে আনন্দের বন্যা।

সম্প্রতি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মুজিব নগর বাংলাবাজারে ড্রেজিং প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।

এ সময় চরফ্যাশন উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন আখন, পৌর মেয়র এসএম মোরশেদ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ভোলা-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিজানুর রহমানসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলার বিচ্ছিন্ন চর মুজিব নগর, কুকরি-মুকরি, নজরুল নগর ও চর কলমী ইউনিয়নে দুই লক্ষাধিক মানুষের প্রাণের দাবি ছিল, তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙ্গণ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণে নদী ড্রেজিং এর মাধ্যমে তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙ্গণ থেকে চরবাসীকে রক্ষা করা।

নদীর ভাঙ্গণ থেকে চর মুজিব নগরকে রক্ষার দাবিতে স্থানীয় লোকজন মানববন্ধনসহ বিভিন্ন আন্দোলন পর্যন্ত করেছিল। দীর্ঘদিন পর তাদের সেই দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে। নদী ভাঙ্গণ রোধে এ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙ্গণ থেকে চর মুজিব নগর, কুকরি-মুকরি, নজরুল নগর ও চর কলমী ইউনিয়ন বাসিকে রক্ষা করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাসহ স্থানীয়রা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, চরফ্যাশনে নদী ভাঙ্গণ রোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের মাধ্যমে ৩০ কিলোমিটার নদী তীর সিসি বক/জিও ব্যাগ স্থাপনসহ প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকা ব্লক দিয়ে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণে শত শত কোটি টাকার কাজ করা হয়েছে। তাছাড়া ১৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে বকসী লঞ্চঘাট থেকে বাবুরহাট লঞ্চঘাট এলাকা ড্রেজিং ও চর কুকরি-মুকরি দ্বীপ বন্যা নীয়ন্ত্রণ শির্ষক প্রকল্পের আওতায় মুজিব নগরের পুটিয়া থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার নদী খননে ১৮টি ড্রেজিং এর মাধ্যমে এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তেতুলিয়া নদীর পাড়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই এলাকার হাজারও মানুষের ভির। তারা অপেক্ষা করছেন কখন নদীর ভাঙ্গণ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণে ড্রেজিং এর কাজ শুরু করা হবে।

ওই এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কালাম বলেন, তেতুলিয়া নদীর ভাঙ্গণে আমার বাড়ি-ঘরসহ বহু জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আজ আমরা নিঃস্ব। আমার মত অনেকেই নদীতে বাড়ি-ঘর হারিয়ে এখন পথে বসেছে। এখানে নদী ভাঙ্গণ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণে উদ্বোধন হয়েছে। এতে আমরা আনন্দিত। এখন এইএলাকার জমি-জমা ও ঘরবাড়ি রক্ষা পাবে।

একই কথা বললেন হুমায়ুন ও মোস্তাফিজুর রহমান।